আশাবরীর উপর তলায়
আমাদের এই ছোট্ট কুলায় ,
দেওয়ালে আর মেঝের পরে
প'ড়ে থাকা স্মৃতির ধুলো ,
মাকড়সা আর আশার বাসা ,
কোণায় কোণায় ঝুল ও আছে !!


ঝুল ও আছে ,ফুল ও আছে
ফুলদানিতে , অসুখ আছে
বেহুঁশ জ্বরের , জল পট্টি মাথার কাছে ,
তাপটা মাপার থার্মোমিটার ,
ঠান্ডা হাতের স্পর্শ আছে !!


মাথার উপর ছাদটা আছে, ,
ছাদের উপর আকাশ আছে ,
আকাশের ঐ গভীর নীলে
শঙ্খচিলের নীরব ডানা
না-মানা কোন বাঁধন কেটে
শূন্যে ওড়ার ইচ্ছেটাকে
পূর্ণতাতে ভরিয়ে দিতে-
মনের গোপন সাধ ও আছে !!


বিকেল বেলায় প্রদোষ আলোয়
ছাদের উপর উচ্চে তোলা
পুচ্ছ তুলে ফিঙ্গে দোয়েল
শালিখে আর সাত-ছাতারে
ঝগড়ুটে ওই পুঁচকে চড়ুই
কাকের সাথে খাদ্য নিয়ে
ঝগড়া গূলো মিটিয়ে নিল ।


তার পরেতে সুয্যি ঠাকুর
প্রতীচীর ওই আকাশটাকে
লাল আবিরে রাঙিয়ে দিয়ে
বেহায়া ওই তারার সাথে
রাত কাটাতে কোথায় গেল ?


সন্ধ্যা আরেক সাঁঝলী মেয়ে
রাতের কাজে এখন এলেন !
আজ পরেছেন কালো শাড়ি
নীলাম্বরি ত্যাগ করেছেন ,
আজ নিয়েছেন কৃষ্ণা ভরণ !
আঁধার কালো ওড়নাতে ওর
ফুল কাটা সব তারার ফুলে ।


দিনের কাজের অনেক বাকি ,
একলা হাতে সারতে হবে ।
গাভীর ঘরে ফেরার পথে
ক্ষুরের ঘায়ে মাঠের ধুলো
বিকেল বেলার দিনের আলোয়
হয়নি মোছা মনের ভুলে !!


প্রত্যূষে ওই তরুন অরুণ
ঊষা রানীর আঁচল ধরে--
ফাল্গুনের ঐ সারমেয়
যেমন করে অনুসরন--
তেমনি আবার লজ্জা বিহীন
প্রাচীর আকাশ রক্ত আভায়
ভাসিয়ে ফের রাতের শেষে
হেসে হেসে ধরায় ফেরে ।


সারাটা রাত কোথায় ছিলো ?
কোথায় যে তার গতি বিধি ?
আশাবরীর উপর তলায়
আমার ছোট যে ছাদ আছে --
সেটাই আমার পৃথিবী তো ,
আমার জানার ঐ পরিধি !!!