তখন -- যখন বয়স ছিলো--
আঠারো আমার , তোমার ষোলো--
সাধটা ছিলো ,তোমার রাতে
               রাতটা আমার মিশিয়ে দেবো !


সাধটা ছিলো , শক্ত মুঠোয়
হরিতকি দূর্বা কুশে
কোষা-কুশির গঙ্গা জলে
হলুদ সুতোয় বাঁধন পরা
তোমার দুটি মেহেন্দি হাত
                 আমার হাতে লুকিয়ে নেবো !
সামনে আগুন সাক্ষী হবে--
তোমার মুখে স্বেদের ফোঁটা ,
উজাড় করা আমার বুকে
থাকবে কেবল উত্তরীয় ।
তোমার মাথার লজ্জাভরণ
সরিয়ে দিয়ে কুনকী ভরে
ইচ্ছে ছিলো , তোমার সিঁথি
                  লাল সিঁদুরে ভরিয়ে দেবো !!
যখন তুমি পান পাতাতে
পানের মতো মুখটি ঢেকে
শরম রাঙা অরুণ আভায়
করুণ দুটি নয়ন মেলে
আমার চোখে নিস্পলকে
                    লজ্জা ভুলে তাকিয়ে রবে ,---
যেমনটি দিক্ চক্রবালে
মুখে মেখে মাটির প্রলেপ
প্রদোষ ধীরে তুলে ধরে
গোধুলির সেই লজ্জানতা
চিবুক খানি কোমল হাতে ,
                  এমন তরো ইচ্ছে ছিলো
                  তোমায় দেখি , তেমনি ভাবে--!!!


ইচ্ছে ছিলো , ময়ূরী রাত
কেমন করে বানিয়ে তোলে
শিখীর কাছে সেটাই শিখে --
                   আমিও এক এমনতরো
                   রাত-সম্ভব কাব্য লিখি !!


এখন ,-- যখন কেবল ঊন
সত্তরেতে পৌঁছে যেতে ,
জীবনের এই সায়ন্তনে
একলা বসে ভাবছি মনে
                     ইচ্ছে মনে হয়তো ছিলো --!!!
কিন্তু তবু পেয়েছি যা -
বিধির দেওয়া ,কম বা কি তা ?
সিদ্ধা স্বয়ম্ বৃদ্ধা আমার
                      সংসারে সুখ কম কি দিলো ?