'ও আমার জানা আছে সব'-ইত্যাকার বচন-বাগীশ
ভীমরতি পিতামহ, কিংবা বৃক্ষশাখে বৃদ্ধ কৃকলাশ
অতি বিজ্ঞ প্রবীণ মস্তক ধীরে ধীরে সঞ্চালন
সু-সম্যক্ ধাতস্থ আমার।


সব ব্যাটাদের নাড়ী টিপে আমি যশস্বী ডাক্তার,
সর্ব রোগ বিতাড়ক মোক্ষম ওষুধ যেন জানা আছে সব।
একটা ভাতের স্পর্শে জেনে নিই হাঁড়ির খবর।
কুড়িতে বুড়িয়ে গে'ছি চিত্তের অশান্ত প্রদাহে।


ঢিল ফেলে ঢেউ তুলি নিথর পুকুরে,
অকারণে কিল মেরে খেপাই কুকুরে,
নয় ত' পরখ করি বে-পাড়ায় ছোটো মাল গুলো,
কিংবা চালিয়ে ছুরি মরচে ছাড়াই।
এডভেঞ্চার যত ঢিল ছোঁড়াতেই।


রাত দিন কী করি, কী করি!!


আমার ও তো এক সময়ে
আঠারো বছর বয়স ছিলো ।
আজ সেদিনের বয়স টাতে
ফিরতে গিয়ে বুকে বাজে ;
আজ জীবনের স্মৃতিগুলো অনেক কিছু ফিরিয়ে দিল !!
তখন যেন মনে হ'ত
এই পৃথিবীর সবটা জানি--
এখন , যখন ষাটোর্দ্ধে এই 'গোলি খা কে জিন্দা ' আছি
(অর্থাৎকিনা) ট্যাবলেটেতেই বেঁচে আছি --বর্তে আছি ,
এখন যেন হচ্ছে মনে ,
এখন শুধু এটাই মানি
বিপুলা এই পৃথিবীটার সত্যি আর কতটা জানি !!
তখন কেবল মনে হ'ত
নিজেকে বড় কেও কেটা !!
আজ জীবনের বিকেল বেলায় নিজের মনে ভাবছি সেটা ।।
এখন
যখন ষাটের উপর
সেই কথাটাই মনে করি--
রাত্রি দিন এই অলস বসে কেমনে কাটাই ভেবে মরি !!
তখন ------
যখন বয়স কুড়ি......
তখন ও তো সেই কথাটা---
ছটফটে এই দুরন্তকে কী যে করি --কী যে করি