বাগানে যেতে ভয় হয় ।
কেননা এর আগে এই হাত
ছোঁয়নিকো কিশোরীর পুস্পল চিবুক,
কিংবা অনাঘ্রাত আজ ও সেই ঈভের শরীর-
আদমের আধ-খাওয়া বিষ বৃক্ষ ফল।
একদা খেলার ছলে,
শালুকের সাজানো বসন
একে একে ছিঁড়ে ছিঁড়ে করেছি নগ্নিকা,
সূর্যমুখীর ঠোঁটে এঁকেছি চুম্বন-
পরাগ প্রলাপ তার লেগেছে অধরে,
কিন্তু সে তো অনাগত যৌবকালে-
যখন মনিকা মৈত্র ফ্রক পরা খুকী।


বাগানে যেতে বড়ো ভয় হয়,
কেননা আমার ত্বকে তণ্বী লতারা
শাড়ির আঁচল ছোঁয়া রোমাঞ্চ জাগায়,
কিংবা,ফিরিঙ্গী যূনী ষোড়শী ডালিয়া
ইঙ্গিতে দেখায় তার উদ্ধত গরিমা।
আঁখি ফিরালেই দেখি,পথের দু'ধারে
লাস্যময়ী বসন্তসেনার দেহের সুবাসে মুগ্দ্ধ
অন্ধকারে দিগ্ভ্রান্ত লুব্দ্ধ শকার।*


কবে যেন, প্রত্যক্ষ করেছি ঊর্ণনাভ প্রেম,
চুম্বন পশুত্ব মনে হয়।
তথাপি, লেকের ধারে পাশা পাশি দুটি কৃষ্ণচুড়া;
রেস্তোঁরায় এক পাত্রে দুই কবুতর;
প্রেক্ষা গৃহে আলো নিভে গেলে,
কাছা কাছি স'রে আসা শাড়ির খস্ খস্
শুনলেই, বুকে ঝড় বয়।


ইচ্ছে করে,সুন্দরী রমণী বেছে গৃহলক্ষ্মী করি!
ভয় হয়,
তাই,বেড়ার এধার থেকে, রক্ত গোলাপ ছিঁড়ে
জামার বোতাম ঘরে গুঁজি ।।
(শুদ্রকের মৃচ্ছকটিক থেকে অনুসরনিকাটি সংগৃহীত)