ঝরা শিমূলের কার্পেট মাড়িয়ে শকুন্তলা যবে
শরীরে হিল্লোল তুলে রেস্তোঁরার কুঞ্জে আসে
কেবল প্রশ্রয় দিতে প্রত্যাসন্ন প্রেমে,
তখন,তুমি বিচারে বোস'না পন্ডিত-
গম্ ধাতু ক্বিপ্ প্রত্যয়ে যে জগৎ অর্থাৎ চলমান কাল
তাও যদি স্তব্ধ হয় ক্ষণিকে নিশ্চল।


সেকেন্ডের দ্রুত গতি আবর্তন কব্জির ঘড়িতে
ক্লান্ত লাগে দীর্ঘ প্রতীক্ষায়
তার পর, যুবকের বুকের ভিতরে অকস্মাৎ
বেজে ঊঠে সহস্র সানাই-
খসে পড়ে কৃষ্ণাবগুন্ঠন,
অযূত তারকা ফোটে অমল আকাশে
নীপ বনে গেয়ে ওঠে পিক ও পাপিয়া
যাদুকর,তুমি কি দেখাতে পারো
প্রাবৃটে * * বসন্ত সমাগম?


কাঁকন নিক্বনে আর কফির পেয়ালায়
চামচের মৃদু সঙ্গে যে জল তরঙ্গ বাজে
তার সুরে যদি একটি হৃদয় রক্তাক্ত হয়
ডাক্তার, তাতে কি প্রলেপ দেবে?


কী কবিতা লিখবে হে কবি,
যদি সলাজ বীক্ষণে যৌবনের ভিৎ নড়ে যায়
একটি যুবক যদি যুবতির চোখে দ্যাখে
আশ্রয়ের ক্ষীণতম প্রতিশ্রুতি,
তবু ও হে প্রবিণ ঋষি *
তুমি অভিশাপ দেবে, এক অষ্টাদশী
যদি সমুহ ভবিষ্য ভুলে
আবিষ্ট বর্তমান সত্য বলে মানে?
* দুর্বাসা দ্যুষ্মন্তের প্রেমে স্বপ্নাবিষ্ট শকুন্তলাকে সহ্য করতে পারেন নি
** সময়টা তখন ঘোর বর্ষা অথচ ওদের কাছে বসন্ত !!