অকালে কোকিল ডাকে
জ্যৈষ্ঠের চরম গরমে --
বড়ো বে-মানান
কন্ঠরবে কিছুটা পৌরুষ লাগে কানে !
মনে হ'ল , না জানাই ছিল ভালো ,
নারী নয় ,
আরো সব গান গাওয়া পাখিদের মতো
কোকিলেরা আসলে পুরুষ !!
মনে হ'ল , আমাদের ধমনীতে
রমনীর প্রতি আছে কিছু পক্ষপাত !
সৌষ্ঠব, লাবণি , চারু- আদি শব্দচয়
কেবলি কি রমনীর রূপ বর্ণনার তরে জন্ম লয় ?
মনে হল , ময়ূরী তো কলাপ মেলে না--
নৃত্যে নেই নিত্য চারুকলা !
সৌন্দর্য সাজানো থাকে হর্যক্ষ কেশরে ,
মৃগদের শৃঙ্গে ,আর ঋষভ ককুদে
স্বর্গের পাখিদের যারাই পুরুষ ,
তাদের ই পালকে থাকে আঁকা আলপনা ।
অতীব নিস্প্রভ ঐ সব বিহগের নারীসাথিগণ !!


বিপরীত যৌন ভাবনায় আমরা পুরুষকূল
সৌন্দর্য খুঁজেছি শুধু মানবী শরীরে ।
ভাষ্কর দেখেনি কি সুন্দরের রূপ
গ্রীক পুরুষের দেহে বলিষ্ঠ পেশীতে ?
অরণ্যের শালে কিংবা তালে ও তমালে
আমরা কি পাইনিকো সৌন্দর্য অধিক?
ওদের যে ওখানে মানায় !!
উঠোনে দোপাটি যুথী নীলমণি লতা
যতই না বাগিচা সাজায় ।।
তূষারে আবৃত ঐ গিরি চুড়া আকাশ সাজাক ,
তরঙ্গিনী করতোয়া তিস্তা ব'য়ে যাক
পায়ে তার বাজুক নুপুর --
তবু ও দুরন্তগতি ব্রহ্মপুত্র কিংবা দামোদর
আনুক সে যত না প্লাবন--
তারো আছে মোহময় রূপ !
বৃষ্টিতে মিষ্টতা আছে,
তবুও যে নিদাঘের ঝঞ্ঝা বজ্রপাত--
অপার বিস্ময়ে চোখে সে ও অপরূপ !!