সেদিন রাতে রেস্তোঁরাতে
বয়স বাইশ কুড়ি
বসেছিল একলা মেয়ে ফুটন্ত ফুল-কুঁড়ি
প্রতীক্ষাতে আনমনেতে । গোপন আলাপচারী
দক্তি -মাকু লাগিয়ে তাঁতে
রঙিন সুতোয় গোপন হাতে
বুনছিল তার আঁচলে কেউ অপুর্ব ফুলকারি !!
কখনো তার ধনুক-বাঁকা ভ্রূকুটি কুঞ্চিত ,
কপাল কপোল স্বেদের রেখায় কখনো সিঞ্চিত ।
অভিমানের স্পষ্ট রেখা অধর-ঔষ্ঠে ফোটে
রক্ত বাহী শিরায় শিরায় বিরক্তিটাই ছোটে ।
অনামিকার মুক্তাটিকে দেখছিল বার বার ;
আননে তার উপচে পড়ে ক্রোধের উপচার !!


দীর্ঘ সময় অবসানে একটি যুবক শেষে
কানের কাছে মুখটা এনে একটু খানি কেশে
জিজ্ঞাসিল নরম গলায়, চমকে ওঠে কুঁড়ি ,
" দুঃখ -পারাবারের থেকে কয়টা পেলেন নুড়ি ?
টেবিলে তো বিল হোল'না ,
বৃথাই উত্তমাশা
বকশিস্ টিপস্ জলেই গেল --
অন্তরীপেই আসা !!
আপনি দুখি , আম্মো দুখি
কারণ কেবল ভিন্ন !!
ভাগ্য কি মোর সেই বিড়ালের
হইবো শিকে ছিন্ন ? "