আকাশে যে চাঁদ আলো দেয়
সেটাই ভুলেছি বহুকাল !
ভাগ্যিস , বাতি নিভেছিল !
ভূষূন্ডির মাঠ নয় ,
খোদ এই গড়িয়া-পাটুলি--
বাই পাসে দেখলাম
আবছায়া জ্যোৎস্নায়
গাছেদের সাদা ভুতগুলি ।।
সারি সারি জোয়ান শিরীষ পথের দু-ধারে ,
গায়েতে বল্কল নাই ;
অস্থিসার অথচ গঠন সুঠাম,
মাংস নাই শরীরে কোথাও
সাদা হাড় , কেবল কঙ্কাল !!
উচ্চে তুলে শীর্ণ শত হাত  নৃত্যে মাতে ।
হাওয়া বয় , উন্মুক্ত পঞ্জরে
কন্ঠে ওঠে অস্ফুট চিৎকার !


মনে হ'ল , মৃত ঐ গাছেদের ও
আত্মা র অস্তিত্ব আছে ,
হওয়া চাই , শীঘ্র সৎকার ।


হে স্রষ্টা , তোমার বাগানে এককালে
হয়তো রোপন করেছিলে
নিজহাতে ঐ সব বৃক্ষের বীজ ।
তোমার সন্তান ঐ মহীরুহগুলি
ফুল দিত , ছায়া দিত , পথিকে বিশ্রাম ।
হায় রাম !
বৃক্ষ নয় , কাষ্ঠ আজ তারা
মানুষেরি লোভের ছোবলে।
গৃধিণীর ভাগাড়ে যেমন --
অপেক্ষার শ্যেন-দৃষ্টি রয়েছে তেমনি ত্বষ্টার ।
শিরীষ সেগুন সাল--
কাঠের বাজারে আজ বহুমূল্য তাদের কঙ্কাল ।
আসবাব-উপাদানে  শোনা যায় সবখানে
ভীষণ আকাল ।।