মনে মনে ভাবি আছি গুরুগ্রামে ,
আছি একসাথে ছোট এক সংসারে ।
ছোট অরেলিয়া রাতটা কাটায়
ছোট দুটি হাতে দিদাকে জড়িয়ে ধ'রে ।
আমি বুড়ো দাদু , কাক-ভোরে উঠি ;
সেজে নিয়ে ট্র্যাকস্যুটে
নাতনিকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমনে পার্কটাতে যাই ছুটে ।


তখনো সূর্য আকাশের বিছানায়
মেঘের চাদরে ঢেকে নিয়ে তার দেহ ;
হয়তো বলেছে , ভোর পাঁচটার আগে
ঘুমের ব্যাঘাত করে নাকো যেন কেহ ।


প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েছে পিতামহ
অঙ্গুলি তাই পৌত্রীর করায়ত্ত ।
মন্দ মধুর বহিছে গন্ধবহ ;
দুটি প্রাণী পথ চলার খুশীতে মত্ত !!
বাম তর্জনী মুষ্ঠিতে ধৃত পৌত্রীর ,
পথনির্দেশে দক্ষিণ তর্জনী ;
রাজপথ শোনে চতুষ্পদীর ছন্দ ,
আবহ গীতের মহা আয়োজন পক্ষীর ।


বহু ব্যবহারে ক্ষীণ হয়ে আসে শক্তি
তবু অশক্ত পায়ে জাগে উৎসাহ ;
পৌত্রীর পায়ে টলমল পথ চলা
পথের ঠিকানা বলে দেয় পিতামহ ।।


ঘুম ভেঙে যায় ! ভোর পাঁচটায় ,দেখি পড়ে আছি বিছানায় ।
গুর গাঁও নয় --রোজকার মতো বুড়ো-বুড়ি সেই গড়িয়ায়।।