যৌবন ছিল সেদিন আমার  রক্তে ।
জীবনের আস্বাদ ছিল মিষ্টি
—যেন জিভের ডগায় বৃষ্টির ঝরে পড়া !!
জীবনকে পরিহাস করেছি ,
উত্ত্যক্ত করেছি নিজেকে নির্বোধের মতো প্রশ্ন ক’রে ;
খেলেছি অনেক খেলা বড় বোকা বোকা –
বিকেলের হাওয়ারা যেমন
মোমের স্নিগ্ধ শিখাকে উত্ত্যক্ত ক'রে --
বেপথুমান ক’রে তোলে অকারণ ।
হাজারো স্বপ্ন আমি দেখেছি তখন ,
চোখের টেবিলে পাতা পরিকল্পনা হাজার রকম
কত না সৃষ্টির ছিল নেশা চমৎকার –
সে সকল হায় ! কোথায় মিলালো !!
হয়তো বা , সে-সবের দুর্বল ভিতে ছিল চোরা বালি ।
আমার ভালো লাগতো না দিনের উলঙ্গ আলো --
আমি অন্ধকারে থেকেছি তখন ।
এখন দেখছি , বছর গুলো কি ক’রে কখন
চোখের সামনেই ব’য়ে গেছে কালস্রোতে ।


সেদিন আমার বয়সটা ছিলো কাঁচা ।
অনেক সুরার সুর তখন হয়নি গাওয়া
স্বেচ্ছাচারী খেয়ালি পুলক জমছিল মনের কোঠায় ;
আমার চোখ দুটো ছিল তীব্র আলোকে ধাঁধানো ;
পথে পড়ে থাকা কষ্ট গুলোকে কখনো দেখে ও দেখিনি ।
পায়েতে তখন হাজার অশ্বশক্তি ,
এত দ্রুত দৌড়চ্ছিলাম যে জীবনের পথ ও সময়
এত দ্রুত শেষ হয়ে গেল ।
আমি কখন ও ভাবার জন্যে থামিনি--
আসলে জীবন কেন ? কোন প্রয়োজনে ?


সেদিনের সব কথা আমি এখন ও মনে করতে পারি—
সে সকল কথা—কেবল আমাকেই ঘিরে –
আমাকেই , এবং আর কারো স্থান সেখানে ছিলনা ।
সেদিন চাঁদ ছিল নীল—
-- নীলচাঁদ -- মানে, যা দেখা যেত কদাচিৎ --,
তবু ,প্রত্যেকটি পাগল দিন কিছু না কিছু নতুন আলো এনে দিত ।
আমি তখন নিজেকে ই নিয়ে মসগুল ,
বয়সটা ছিল এমনি যাদুতে ভরা --
কখন ও দেখিনি ফিরে কোথায় কি যে রইল পড়ে
কে যে পেল কত অবহেলা
কোথায় , ও কেন , কি যে র'য়ে গেল খালি ।
যে প্রেমের খেলা সেদিন খেলে ছিলাম
তা ছিল উদ্ধত গর্বিত ;
জ্বালিয়েছিলাম যে সকল দীপশিখা
বড় তড়িঘড়ি—হয়তো বা তাই নিভে গেলএত দ্রুত।


বন্ধুরা যারা জীবনেতে এসেছিল
প্রবাহ তাড়িত স্রোতে কোথায় যে আজ তারা ?
একলা কেবল আমি ই আজকে প'ড়ে ।
জীবনের নাটমঞ্চেতে আমি একা ।
সেই খেলা , যে টা সেদিন করেছি শুরু ,
আমাকেই জানি শেষ টা করতে হবে ।
সেই গানগুলি যেগুলো হয়নি গাওয়া
দুঃখটা এই ,সেগুলো কখনো আর গাওয়া হবে নাকো ;
চোখের জলের স্বাদ সে তো তিক্ত ই লাগে জিভে
পুরোনো দীপের সলতে এখন ও তো জ্বলে --
বুকের মাঝে , কখনো কি যায় নিভে ?
এখন ও তাই আসে তারা ফিরে ফিরে
আমার সেদিন আমাকে ই ছিল ঘিরে
সময় এসেছে সেদিনের নেওয়া ঋণ
সুদে ও আসলে আজকে শুধতে হবে ।।


( গ্লেন ক্যাম্পবেলের গাওয়া একটা কবিতার অক্ষম ও অসার্থক অনুবাদ )