স্বর্গবাসে শর্ত ছিল
কুকুর সাথে চলবে না ।
যুধিষ্ঠির ও বলেই দিলেন ,
--" তা'হলে ভাই যাবই না "।।
" মোকাম্বো " আজ না-খুশ ভারি ;
সাকরেদরা তস্যাধিক !
পোষ্য নিয়ে রেস্তোঁরাতে
খাবার খাবেন-- এ নয় ঠিক !!
গাড়ির চালক মানুষ নাকি ?
গা'য়ের পোষাক তেমন না --
ধোপ দুরস্ত--স্যুটেড-বুটেড
ইংরাজিতে চোস্ত না--!!
এরা আবার ঢুকলে হেথায়
কাস্টমারের জাত যাবে --
ড্রাইভাররা বাবুর সাথে
এক টেবিলে ভাত খাবে ?
ভেবেছে কি ' অভাগীরা ' --
উঁচুজাতের কদর নাই ?
সব ব্যাটা কি বামুন কায়েত ?
ওদের ও মুখে আগুন চাই ?
চাঁড়ালের ও মড়ার মুখে
ছোট জাত ও আগুন চায় --
জাত পাত সব রইল মাথায় ,
ধর্ম রাখা এখন দায় !!
বালির চরে দে না পুঁতে --
মরেই গেছে তোর মা তো !
ছেলের হাতে আগুন পেয়ে
স্বর্গে যাবেন !! --সখ কত !!!


কলকাতার একটা অভিজাত রেস্তোঁরায় একটা ঘটনা কে কেন্দ্র করে এই কিছুদিন আগে যে খবর হয়েছিল সেই ব্যাপারে শরৎ চন্দ্রের 'অভাগীর স্বর্গে'র কথা মনে পড়ে গেলো-- তাঁর জন্মদিনে--