চিত্রটা এই রকম –
মিত্রপক্ষে মৃত্যু আর শত্রুপক্ষে বৈদ্য যুযুধান-
দ্যূতসভা বসেছে শ্মশানে ;
দুজনের মাঝখানে সুদৃশ্য শতরঞ্চ পাতা
জ্বলন্ত চিতার কাছে ;
শবেদের মাঝে শবের ই মতন
এখনো-জীবন্ত আমি এক প্রাণ শুয়ে আছি ;
আমার ই মতন সাজানো রয়েছে আরো কিছু
মন্ত্রী-রাজা,হাতী-ঘোড়া কিংবা নিতান্তই বোড়ে-
হয়তো বা ওদের ও অবশিষ্ট আছে দেহে প্রাণ ,
কিন্তু নিজেরা নড়ে না !
ওই যে বললাম ,অন্তক ও ভিষক—
ওরাই আসল—বাকিরা তো স্রেফ ক্রীড়নক !!
ওরাই নাড়ালে তবে নড়ে চড়ে ;
ঠিক ঠাক চালটা না হলে
কুঁড়ের খুঁটির মত একটু ঝড়েই
দাবার ও ঘুঁটি ভেঙে পড়ে !!
এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী বড়-
–একদিকে যুযুৎসু ডাক্তার
অন্যদিকে পাশীর পাশব পাশা-
দু-পক্ষের বিজিগীষা -
দু-দলের ই
রাজা-বোড়েদের করে তোলে
কৃতান্তের হাতের পুতুল !
ঐ সব রুগ্ন রোগী অসুস্থ বিবাগী যারা সকলেই
শ্মশানের কাছে রোজ যেত প্রাতঃভ্রমণে-
সেখানেই আগে থেকে ইঁট পাতা আছে—
সকলেই রয়েছে লাইনে
খেলা শেষে চিতাতেই বহ্ণির মুখ দেখে নেবে।
মৃত্যুই জয়ী হবে-কে না জানত-
এটা ই তো অবধারিত-
তবু ,খেলা চলে ভিষকের সাথে নিয়মিত ।