'প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব '- বড় শক্ত কথা ।
কিন্তু সহজেই বুঝেছিল আমার বন্ধুরা ।
তারা সব ভি আর এস নিয়েছিল--স্বেচ্ছা অবসর--
ক্ষতিপুর্তি খেসারত আর তার সাথে একদম ফাউ
আজীবন পেনশন--বিনাশ্রমে উপার্জন --
অকর্মক বৃদ্ধত্বের নিত্যবৃত্ত ভাতা ;
আমৃত্যু সভ্যপদ অবসরিকার ,
গৃহে পাতা আরামচেয়ার ,
যতিহীন অর্থের যোগান --
সঠিক সময়ে ছিল সিদ্ধান্ত মোক্ষম !
কেবল , ক্যাবলা আমি বুঝতে পারিনি ।
এখন বুঝতে পারি আর দেখে হিংসে হয়
কত বেশি হাতে এল ওদের সময় ।
অবশ্য আমার ও হাতে আজ অঢেল সময় ,
কিন্তু নেই , অতিপ্রয়োজনীয় সে দুটি জিনিস--
এক হ'ল , অর্থের বর্ষজীবী খোলা উৎস মুখ ;
আর দুই , সংসারের প্রাত্যহিকে সত্যিকার কর্মের বিরতি ।
কোনোদিন যদি দেখা হ'ত প্রশ্ন করতাম ,
--'কোথায় যাচ্ছেন ,তারাপদ বাবু ?'
নির্ঘাত বলতেন -- "বাজারে । ",
এর পর বলতেন , "বুঝলে না
এর থেকে অফিসটা ছিল ভালো
--ঝামেলা ছিল না ।''
কেন না , সংসারের সব কাজ সেরে সপ্তাহে
অবসর ছিল তাঁর
মাত্র নাকি তিন সেন্টিমিটার !!
আমার হিসেবমত অবকাশ ,তাও তো জোটেনি ।
বোম্বের মাঠে ঘাটে অবশ্য কাশ ও ফোটেনি !!
কচুরিপানার ফুল এমন রঙিন হয়
অবসর পেলে নাকি তবে জানা যায় ।
একথাটা বলেছেন , আর কেউ নয় --
স্বয়ং শ্রী তারাপদ রায় ।।