মোদের গাঁয়ের ঝি-বৌরা কইলকেতাকে ডাইনি মানে ।
অই ঢঙিটার যৈবনে যে কী রস আছে , কে তা জানে !!
মরদগুলান মরতে আসে চক্ষু অদের ন্যাশায় ঘোলা
কইলকেতার গতরখানা পিঠের দিকে আক্ষা খুলা !!
অদের অ বা দোষ ক্যান দেই ,অরা ও তো পুরুষ মানুষ
শাকচুন্নির হাতছানিতে কতই অরা রাখবে সে হুঁশ !!
মাইয়ালোকের পেছন ছোটা ,ইহা তো সেই আদিম খেলা
দ্যাখছ না অই সুয্যি চলে উষার পিছে সকাল ব্যালা।
পক্ষী-পশু , পতঙ্গ-কীট সব জীবেতেই এমনি ধারা
মাইয়াদের ও ভাল্লাগেনা একটু আধটু নখরা ছাড়া ।
কইলকেতার টোপটা গিলে চাষের জমি , হালের গরু ,
পানের বরোজ , খড়ি-বাড়ি ,অশ্বত্থ-বট বৃক্ষ-তরু
গাছ-গাছালি , পাখ-পাখালি এখন অদের চোখের বালি !!
কইলকেতায় কইরছে পাগল , গেরামগুলান হইচ্ছে খালি !
ডাগর কালো মাইয়াগুলা হাঁটুর উপর কাপড় তোলা
রুইছে মাঠে ধানের চারা—লজ্জা-শরম ক্যামন ধারা !!
এ সব দ্যাখে ট্যারা চোখে ,দ্যাখে এবং আঁতকে উঠে ,
শহরের অই লজ্জা-খাকীর আবার পিছে মইরছে ছুটে ।
তখন আবার বাছতে বসে যখন দেখায় জঘন-উরু
চোখ সরেনা ছেলে-বুড়ার , হাঁ বুজে না তখন কারু ।।
আমরা বাপু , শ্বশুর ভাসুর দেখলে পরে ঘোমটা টানি
লজ্জাটা যে নারীর ভুষণ এ যুগেও সে সব মানি ।
হোক না যত গাঁইয়া ধারা , যাক এগিয়ে দ্যাশটা সারা
এই টুকুনি লজ্জা শরম মোদের আছে,-- রাখতে দে না !
পয়সা গরম সব কিনেছে , এইট্যা না হয় রইল কেনা ।।