সবুজ ধানের ক্ষেত ।
চারা গুলি কোমর ডুবিয়ে জলে
বাতাসের সাথে হেলেদুলে খেলা করে ।
ভাগচাষী কৃষকেরা কখনো হয়ত লাঙলের ফালে
নিজেদের অধিকার চতুষ্কোণ সীমানায় এঁকে রেখেছিল ।
মাঝখানে এক-দেড় ফুট ছেড়ে-রাখা ভূমি--
যেন মধ্যিখানে নো ম্যানস ল্যাণ্ড দু-দেশের ।
অবশ্য মাঝে মাঝে তার ও হয় ,স্থান হেরফের ।
ছোটবেলা দেখতাম, সেই আলপথে
পাতাহীন সরু সরু দুরন্ত সবুজ ঘাস--
গরুতে খেতোনা --
ধানের চারারা বাড়তে পাবেনা--তাই
কাস্তেতে কেটে দিত গাঁয়ের মেয়েরা ।
ওদের ও গেঁয়ো নাম ছিল--'চুচ্চুড়ী ' ।
আমার বয়স হবে তখন বা কত ?
বড় জোর , তেরো বা পনেরো ।শ্মশ্রুহীন কৈশোর ।
কেবল নাকের নীচে সবে-জাগা গুম্ফরেখা--
দেখে মনে হ'ত ,ওরা সব আলপথে
ঐসব ঘাসের মতন কেবল আগাছা ।
মনে হ'ত , ও গুলো লজ্জার !
লজ্জাটা বয়ঃসন্ধির !
লজ্জাটা বড় হয়ে ওঠা !
একদিন ঐ সব কৃষকের কাস্তের মত
বাবার যত্নে রাখা প্রসাধনী ক্ষুর হাতে
আরসির কাছে পিঁড়ি পেতে
একান্ত অবনত আমি
বেছে বেছে করে দিই গোপনে নিঃশেষ
নাসিকা ও ঔষ্ঠের বিভাজ্য সে রেখা --
আলপথে ' চুচ্চুড়ী '--উদ্গমিত কেশ ।।