নীল আকাশে ভাসছিল বেশ
দুধ-সাদা মেঘ তুলোর মত ,
কি যেন তা'য় পড়লো এসে
কি সব কালো ঝুলের মত
ধবধবে আর থাকলোনা সে
রবীন-ব্লুএ সদ্যকাচা
এখন যে তার রং ঘোলাটে
ধুলোয় ধুসর ঠিক যেন সে
পান্ডূলিপির হলুদ পাতা ।
ও মা এ কি !
এ যে দেখি শরৎ কালে
এই অকালে ঝমঝমিয়ে
ছাঁকনি-ছাঁকা বৃষ্টি এল !!
মুক্তো ফোঁটায়
সৃষ্টিছাড়া বৃষ্টি এল ।
এমন দিনে কেমন করে
আদর ক'রে মিস্টি বলি ?
ঋতুরা সব ঝগড়া করে
আকাশের ঐ ঘরের চালে ;
শরৎ বলে ,বৃষ্টিটাকে
আবার কেন দেখছি নাচে
আজ সকালে?
বর্ষা বলে , বৃষ্টি আমার
এই টুকুনি ছোট্টো মেয়ে
উড়তো সে তো আকাশ ছেয়ে
হাওয়ার ডানায় আনন্দেতে
শরৎ কেন তার দিকেতে
হাতছানি দেয় ?
বাচ্চা মেয়ে একলা পেয়ে
ফুসলে যদি কেউ ডেকে নেয়
বল্ তো তোরা, বল তারারা
আমার বা কি করার আছে ?
বৃষ্টি বলে , মা'র কাছে যাই !
আমার ভারি কান্না যে পায় ,
চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে
গাল গড়িয়ে কথায় কথায় !!
শরৎ বলে ,সে নয় আমি
মুছিয়ে দেবো ,আয় কাছে আয়, ,
তোকে অনেক রোদ ও দেবো ,
রামধনুতে চড়তে দেবো ,
ভিজে পাখা শুকিয়ে নিবি
উড়বি আবার আকাশ -নীলে
নিস্ নি কিছুই , না হয় নিলি
এই তো অনেক --
শীতলতার স্পর্শ দিলি !!