দশমীর দুদিন আগে তার বিসর্জন হয়ে গেল ।
শবটাও দাহ হোলো কেওড়া তলায় --
ক্রিমেটরিয়ামে ।
বেদীতে শোয়ানো হোলো ধবধবে চাদরেতে মোড়া
সাদা বরফের মত তার দেহ । বাঁশের বাঁখারি র খাট ।
সবুজ ও সাদায় চৌকোণো --অতি পুরাতন
শৈলীতে বানানো , নারকেল দড়ি দিয়ে বাঁধা ।
মৃতদেহ তোলা হোলো তাতে ,
বৃত্তের আকারে গাঁথা সাদা ফুল বুকের উপর ,
বুকের উপর গীতা --ধর্মীয় পুস্তক
নাকে তুলো , তুলসীর পাতা দুটি চোখে--
দেহেতে মাখানো হোলো খাঁটি গব্য ঘৃত
সুগন্ধি , অগুরু ,চন্দন । চারিদিকে সাইকেল ব্র্যাণ্ড
আগরবাতির ধোঁয়া চক্ষে বারি আনে ।
পন্ডিতে মন্ত্র পড়ে ভুলভাল--
তবু ভক্তি ভরে শোনে প্রিয়জন--
মুখাগ্নি এরপরে পাটকাঠির আগুণে ।
তার পর কলাপসিবল লৌহগেট খোলে।
খুলে যায় গুহামুখ --
শ্মশান বন্ধু ডোম মৃতদেহ ঢেলে দেয় বিশেষ কৌশলে
গুহার ভিতরে যেখানে বৈদুতিক অগ্নিদেব বিস্তারিত মুখে
করে নেন একগ্রাসে গলাধঃকরণ ।


তার পর ?
প্রতীক্ষা কিছুক্ষণ !!
তারপর ...
তারপর আর কিছুই থাকেনা...
মুঠো মুঠো তপ্ত ছাই ...।
প্রিয়ের শোকাশ্রু প্রক্ষেপে
হরিশ্চন্দ্ররা পোড়া ছাই ঘেঁটে খুঁজে দেয়
অর্ধসিদ্ধ মনূষ্য-মাংসের পিণ্ড
সেই পদ্মনাভি--
ব্রহ্মার যে অংশে নাকি ধরিত্রীর জন্ম হয়েছিল ।।