" আগচ্ছতি যদা লক্ষ্মী নারিকেলফলাম্বুবৎ
নির্গচ্ছতি তদা লক্ষ্মী গজভুক্ত কপিত্থবৎ ।।"


সুকেশ বাবুর জামার বোতাম যাচ্ছে না আর রাখা ;
নিম্নোদরের বৃদ্ধিটি যে থাকছে না তার ঢাকা !!
সুকেশ বাবুর কেশের বহর হচ্ছে ক্রমেই ফাঁকা !
কেশ কমলে ক্যাশ বেড়ে যায়, টাক বাড়লেই টাকা !!
সুকেশ বাবু ভালোই জানে , সে সবে সে পাকা !!
লক্ষ্মী পা টা রাখবে কোথায় , জায়গা রাখে ফাঁকা !!
জের কাটে নি দুর্গা পুজার ,আজকে আবার লক্ষী !!
বাধ্য হয়েই যাচ্ছে বাজার ; নইলে তাহার শখ কী ?
সেই বলে না ? স্বভাবে যে চঞ্চলা সে লক্ষ্মী !
পয়সা কখন বেরিয়ে যায় , জানে না কাকপক্ষী !!
নারিকেলের ফলের ভিতর ক্যাম্ নে ঢোকে জল !
লক্ষ্মী কখন আসেন খুঁজে পায় না তো কেউ তল !
কঁথবেলটা গিললো হাতী - এক্কেবারে আস্ত !
সক্কালে তা বেরিয়ে এল হোল যখন দাস্ত !!
হেরফের নেই বাইরে থেকে ভেদ নেই এক চুল !
বেলটি কিন্তু ফাটিয়ে দেখো , ফাঁপা তা বিলকুল !!
যেমনি ক'রে শাঁসটি বেরোয় নেইকো কারু জানা --
লক্ষী বেরোন তেমনি কখন পাবে না ঠিকানা !!
সুকেশ বাবু ভালোই জানে , থাকবে না তার টাকা !!
নিম্নোদরের বৃদ্ধি যে নয় চির কালের পাকা !!