জ্ঞানের সাগর, অন্তহীন, তরঙ্গে ভরা,
তীর কোথায়, কে জানে, কত দূরে ধরা?

এপ্রিলের বাতাসে পুরানো কাগজের গন্ধ,
মনে পড়ে সেই সব মঠের দেওয়ালে আঁকা জ্ঞানের ফল খাওয়ার দৃশ্য।
আমাদের শ্রেণিকক্ষ এখন নতুন জ্ঞানের এক মঠ,
আর আমি, এক অল্পবিদ্যাধারী ছাত্র, তক্ষশিলার পথে যাত্রা করছি।

কিন্তু হাতে নেই অশ্বমেধের ধন, নেই রথী সৈন্য।
আছে শুধু জ্ঞানের অগ্নিময় তৃষ্ণা,
আর তোমার কাছেই সেই তৃষ্ণা মেটানোর সোনার কাঁঠালের চাবি।

নতুন বইয়ের পাতায় লেখা আছে নক্ষত্রের গতিপথ,
কবির মনের গহ্বর, ইতিহাসের রক্তাক্ত অধ্যায়।
এই সবই আমি পড়তে চাই, হে জন্মদাতা,
এই সব জ্ঞানের সলিল পানে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে চাই।

যেন জানা যায় এই মৃত্যুপথিকৃৎ পৃথিবীর গভীর গল্প,
তারকাগুলির নিঃশব্দ সংলাপ।
দাও, হে জন্মদাতা, এই নতুন জ্ঞানের যাত্রায় আমাকে সবার সঙ্গী হতে।

জ্ঞানের অশ্বে চড়ে, অনন্ত নীল আকাশে উড়ব,
সত্যের আলো ছড়িয়ে, পৃথিবীকে করব নবজাগরিত।