হাজার বছরের পালকের ছাপ লেগে আছে রবীন্দ্রনাথের গানে,
কিন্তু কালের কাঠের হাতে ঝরে পড়ছে শব্দগুলো, একটা একটা করে।
বাঙালি নারীর লাল পেড়ে সাদা শাড়িগুলোয় ঈশ্বরী রঙের ছোঁয়া লেগে আছে,
কিন্তু রাতের অন্ধকারে কে যেন ধীরে ধীরে রঙ মুছে ফেলছে।
সনাতনের ধ্যানে মগ্ন মূর্তিগুলো ঘুমিয়ে পড়ছে স্বপ্নের ঢেউয়ে,
আর তাদের জাগানোর মন্ত্রগুলো হারিয়ে যাচ্ছে বাতাসে।
পহেলা বৈশাখের আলপনাগুলো ভাসছে বিলুপ্তির নদীতে,
হাজার হাজার স্বপ্নের মাছ ধরা পড়ছে অজান্তে জালে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আকাশের ক্যানভাসে আঁকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা,
কিন্তু তাদের রঙের তুলি নিঃশব্দে ভাঙছে অদৃশ্য হাতেরা।
এই মৃত্যুর কারাগারে জীবন যেন নির্বাসিত,
সুখের স্বপ্ন ঝুলছে শুধু মৃত্যুর পরের আকাশে।
ঈশ্বর হয়তো চিঠি লিখেছেন এই বিলুপ্তির নদীতে,
কিন্তু নদীর ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছে সেই চিঠির কলম ও খাতা।
কেউ পড়বে না সেই চিঠি, কেউ জানবে না এই সংকটের কথা,
বাঙালি সংস্কৃতির সুতো যখন কেটে যাচ্ছে একটু একটু করে, বিলুপ্তির নিঃশব্দ গর্জনের মধ্যে।