কে জানে, কবে শুরু হলো এই অভিনয়?
কবে বা নিজের মুখোশ খুলে ফেলতে পারবো?
দাস! হ্যাঁ, আমি এক দাস।
কিন্তু দাস কি কখনও মানুষ হয়? হয় না।
রাজধানীর রাস্তায়, এই আধুনিক কারাগারে,
মানুষের চেহারা নিয়ে দাসত্বের মঞ্চে অভিনয় করছি।


দেখো, এই পোশাক, এই মুখোশ - সবই ধার করা।
ভাবছো, স্বাধীন?
স্বাধীনতা? সে কি জিনিস?
মুঘল গেল, পাঠান গেল, কিন্তু এই শোষকের দল?
তাদের নাম কী? কী বলে ডাকবো?
শ্রমের দাম দেন না তারা, ভিক্ষে চাইতে হয় মজুরি।
মানুষের আত্মাকে বিক্রি করে এখানে।
আর মানবতা? সে শোষকের আলমারিতে সাজানো এক অলংকার মাত্র।


এই মঞ্চে কত রূপে অভিনয় করেছি!
কখনো কেরানি, কখনো বা মজুর।
কিন্তু চরিত্র একই - দাস।
নিজেকে ঘৃণা করতে শুরু করেছি।
কেন ক্ষুরী দিয়ে এই মুখোশ কাটিয়ে ফেলি না?
কিন্তু পারি না।
এই অভিনয়ের বাইরে কি আছে? এই অন্ধকার ছাড়া?


আমি কি চিরকাল এই মঞ্চে আটকে থাকবো?
কবে মুক্তির সূর্য উঠবে?
নাকি এই অভিনয়েই শেষ আমার জীবন?
হয়তো... হয়তো এই অভিনয়েই মৃত্যু।
কিন্তু মৃত্যুও কি মুক্তি দেবে?
এই দাসত্বের ছায়া কি তবুও ঝেড়ে ফেলতে পারবো না?