প্রান্তরে সন্ধ্যা নামে, চৈত্রের রঙিন প্রহর
গাঢ় হয়ে আসে। তোমার চোখে লুকানো শেষের
আভাস। কী যেন বলতে চায় সেই আলোয়,
অনুভূতির ঢেউয়ে ভেসে যায় মন। রাঙা
আকাশ যেন কাঁপছে, বুঝি এই সেদিন
স্মৃতির পাতায় লেখা হবে। হে প্রিয়, চৈত্রমাস
এসেছে আবার, কিন্তু কেন এই নীরবতা? তোমার
দৃষ্টিতে লুকিয়ে আছে কী? বুঝতে পারি না। চোখে
চোখে কথা হয়, তবু কেন এই দূরত্ব? দেখেছিলাম
তোমায় প্রথম যেদিন, সেদিন কি জানতাম? আমার
হৃদয় জুড়ে শুধু তুমি। কিন্তু আজ বুঝি সর্বনাশ
ঘনিয়ে আসছে। তবু এই সংসারের
মাঝে, প্রতিদিনের কোলাহলে, এই নিত্য
জীবনের ছন্দে, তুমি আছ। তোমার সাথে খেলায়
মেতে থাকি, যদিও জানি শেষ আসছে। প্রতিদিনের
আনন্দ উৎসবে মগ্ন হই, যেন প্রাণের
উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে বুক। জীবনের মেলায়
হারিয়ে যাই, ভুলে যাই সব। কিন্তু বাটে
বাটে, পথে পথে, তোমায় খুঁজি। ঘাটে
ঘাটে তোমার স্মৃতি। লক্ষ হাজার
মানুষের ভীড়ে, শুধু তোমায় দেখি। লোকের
মুখে হাসি, আনন্দের ঢেউ, হাস্য-
ছলছল চোখ। কিন্তু আমার অন্তরে পরিহাস
করে নিয়তি। এই জনতার মাঝখানে
একা আমি, শুধু তোমার জন্য। তার
চেয়ে বেশি কিছু চাই না। শুধু তোমার
কাছে থাকতে চাই। কিন্তু তোমার চোখে
দেখি আমার ভবিষ্যৎ, আমার
পতন, আমার অন্তিম পরিণতি - সর্বনাশ।