আজিকে কেন রে বুক যে পোড়ে, হায় রে আমার দেশ,
রবির স্মৃতি কেন যে মোছে, এ কেমন পরিবেশ।
কেমন করে মানুষগুলো এমন পাষাণ হলো,
স্মৃতিসৌধ ভাঙার খেলায় কেন রে মেতে রলো।
ঐ শুনলি কি দামামার ধ্বনি, শ্মশানের হাহাকার?
ভাঙছে রে সব প্রাণের বীণা, ভাঙছে তারে বারংবার।
আজকে দেখি শৃঙ্খলে বাঁধা, রবির গানের সুর,
অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলি, ভোরের আলো দূর।
কোথায় গেল সেই সোনার দিন, শান্তির পরশখানি?
বিষাদ-ছায়া ঘিরেছে আজ, হারিয়েছে সব বাণী।
কেমন সে জন, কেমন রাজা, সব ধ্বংস করে,
হৃদয় মাঝে আগুন জ্বালে, আগুন ঝরে ঝরে।
শান্তি কুঞ্জে আগুন জ্বালে, রাঙা আঁধার রাতে,
ছড়িয়ে দেয় অমানিশা, প্রতি ঘরে ঘরে।
বাজে না কেন মোহন বাঁশি, জাগে না কেন প্রাণ?
বিষাদ সুরে বাজে রে আজ, ভাঙা হৃদয়ের গান।
কাহার সে হাত, কে সে রাক্ষস, কেড়ে নেয় সব আলো?
কালিমা আজ ছড়িয়ে পড়ে, আঁধার ঘনালো।
আশার প্রদীপ নিভে আসে, চোখে আসে জল,
কেমন করে বাঁচব মোরা, এ কেমন কোলাহল।
আমার কচি কচি মনের বীণা, আজ যে বড় ব্যথা,
কোথায় গেল শান্ত সুজন, কোথায় সেই কথা।
আয় রে শিশু, আয় রে তোরা, একজোট হয়ে দাঁড়াই,
নতুনের মাঝে গড়ব মোরা, নতুন করে গড়াই।
রবি ঠাকুরের সুরের মাঝে প্রাণ ভরে নিই শ্বাস,
নতুন করে গড়ব মোরা স্বপ্নের সে আকাশ।
ধ্বংসের মাঝে গড়ব মোরা, আলোর মিনার খাড়া,
আবার হবে শান্ত সুজন, রবির গানে সারা।
জেগে ওঠো, ওরে নবীন, জাগো তরুণ দল,
মুক্ত করো মাতৃভূমি, ঘুচাও সকল ছল।