রক্তিম প্রভাত
উষার আলোকে জাগে সোনালি প্রপাত,
স্বর্ণচ্ছটা ছড়াইয়া দিগন্তে ছুটিছে ধীরে
পর্বতের শিরদেশে, নদীর কল্লোল তীরে।
উচ্ছ্বসিত বায়ু বহে সুগন্ধি ফুলের,
মৃদু কম্পমান পাতা নাচে তালে দোলের,
স্বর্ণকেশী তরুশাখা হেলে পড়ে নদীর জলে,
প্রতিবিম্ব ঢেউ খেলে।
প্রকৃতির মাঝে
অনন্ত জীবনের স্রোত বহিছে নিরবধি কাজে;
পাখিদের কলতানে মুখরিত বনানী,
হে স্বর্ণিমা অপরূপা, তোমার মহিমা অফুরন্ত জানি
তুমি যেন স্বর্ণালোকে ভরিয়াছ ধরা!
প্রাণের স্পন্দনে আজ জমিয়াছে সারা
বসুন্ধরা; তব স্পর্শে ফুটিয়াছে কুসুম অগণন
যেন স্বর্ণ তারকার দল করিছে বরষণ।
তোমার আলোকে মোর চক্ষু হয় ধন্য,
প্রতি অণু-পরমাণু হয়ে ওঠে সোনালি অরণ্য।
জীর্ণ পত্র, শুষ্ক ডাল, মলিন ফুলের দল,
তৃণগুল্ম, লতাপাতা, নদী-সরোবর-জল,
সকলি তোমার ছোঁয়া পেয়ে হয় স্বর্ণময়,
অন্ধকার কোণগুলি আলোকিত হয়।
তুমি যেন জাদুকরী, তোমার পরশে
সৃষ্টি হয় নবজন্ম, জাগে নব হরষে;
ধরণির কোলাহলে মিশে যায় তব মধুর সুর
হে স্বর্ণিমা, তুমি যেন স্বপ্নের সীমান্তে কোনো দূর!