— ভয়ের কাঁটাতারে জড়িত মানুষ,
   নিয়ন্ত্রণের মায়াজালে বন্দি।
— বন্দি? এই স্বাধীনতার যুগে?
   যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত উন্মুক্ত আকাশের মতো -
   সেখানে কি বন্ধন থাকতে পারে?
— তুমি তো সবসময় আশাবাদী!
   মানুষের মনের কারাগার দেখতে পাও না।
   ভয়ের শিকল কি তোমার চোখে পড়ে না?
— শিকল? কোথায় শিকল?
   যেখানে প্রতিটি হৃদয় স্বপ্নের পাখি,
   সেখানে কি শৃঙ্খল থাকতে পারে?
— তুমি যদি এভাবেই দেখো,
   তাহলে তো সবকিছুই স্বাধীনতা।
   কিন্তু চোখ যদি খুলে রাখো,
   দেখবে ভীতি কীভাবে মানুষকে পঙ্গু করে।
— হয়তো তুমি সত্য বলেছ।
   ভয়ই তো মানুষের চেতনার কারাগার তৈরি করে।
   যখন আমরা ভয় পাই,
   তখন স্বেচ্ছায় শৃঙ্খল পরি।
— শুধু পরা নয়, বন্ধু।
   সেই শৃঙ্খল আমরা অন্যদের দিই,
   যাতে এই সমাজ, এই পৃথিবী,
   ক্রমশ অবশ হয়ে ওঠে।
— থামো, থামো, রাজনীতিবিদ হয়ে উঠলে কেন?
   এই নিয়ন্ত্রণের বাস্তবতা মেনে নিই।
— ঠিক আছে, বন্ধু।
   আজ রাতের মতো বাস্তবতা ভুলে যাই।
   শুধু স্বপ্ন দেখি এক মুক্ত পৃথিবীর।