আমার কণ্ঠে গান, আমার ডানায় আকাশ,
আমিই ঈশ্বরের রঙিন পাখি, উড়ি নির্ভয়ে।


মাটির বুকে কোনো স্বর্গের সিঁড়ি নেই,
শুধু কাকের ডানায় রাতের অন্ধকার লেগেছে।


শালিকেরা চলে গেছে দিগন্তের ক্ষয়ে,
আমিই রয়ে গেছি, ঈশ্বরের অস্তিত্বহীন আকাশে।


আমার পাখায় নেই দেবতার আশীর্বাদ,
শুধু আছে প্রাণের স্পন্দন, বর্ষার উচ্ছ্বাস।


আমার চোখে ফোটেনি সৃষ্টির রহস্য-ফুল,
দেখি শুধু গাঙচিলের একাকী দাপট, বনের মর্মর।


নদীর তীরে শূন্যতারই বীজ বুনি,
তার থেকে ওঠে অ-জন্ম নেওয়া সবুজের অরণ্য।


আমিই ঘাসফড়িং, আমিই পিঁপড়ের হাঁটা,
আমিই ক্ষয়ে যাওয়া পাতার শিরায় শিরায় বেঁচে থাকা।


মেঘ নেই, তারা নেই, শুধু আছে এই ধরিত্রীর বুক,
এই অচেনা রঙের মিছিল, অনিশ্চয়তার মহোৎসব।


আমি উড়ি, কারণ আমার পাখাই আমার ধর্ম,
আমিই নক্ষত্রহীন আকাশের নিঃসঙ্গতা, আমিই মহাবিশ্বের কাব্য।


ঈশ্বরের অনুপস্থিতিই আমার মুক্তির গান,
আমিই নিজের মহিমা, আমিই ঈশ্বরের রঙিন পাখি।


আমার ডানায় নেই স্বর্গলোকের বোঝা,
আছে মাটির গন্ধ, আর অসীমের বিস্ময়।


আমিই গান, আমিই কবিতা, আমিই নাটকের অভিনেতা,
আমিই ঈশ্বরের রঙিন পাখি, মুক্তির অবিরাম পথিক।


আমিই ঈশ্বরের রঙিন পাখি, উড়ি অবাধে,
মুক্তির আকাশে, নিজের গান গেয়ে।


আমার ডানা ছুঁয়ে যায় নীল অম্বরের কোল,
আমার গানে মিশে যায় সূর্যের আলো।
আমি উড়ি, উড়ি, উড়ি চলে যাই,
অনন্তের দিকে, অনন্তের বুকে।


আমিই ঈশ্বরের রঙিন পাখি,
পৃথিবীর বুকে মহাবিশ্বের ছবি।