আজকে আমি দেখিনু মাঠে, কী এক ঘোর!
সৈন্যদলের ছায়া, যেন মৃত্যুর ভোর।
ফসলগুলি স্তব্ধ,
বিক্রি হবে অবরুদ্ধ,
স্বাধীনতার শ্বাসরুদ্ধ, কান্না কঠোর।
হায়, আদিবাসী কৃষক, কী তাদের বেশ!
হাতে তাদের শস্য, মুখে নীরব ক্লেশ।
সৈন্যের ইঙ্গিতে,
বেচা-কেনা নিভৃতে,
যেন জীবনের মানে শুধু অবশেষ।
হলুদ ধানের শিষ, বাতাসে কাঁপে না আজ,
সৈন্যের বুটের তলে, ম্রিয়মাণ সাজ।
বিক্রির প্রহসন,
যেন এক বিমর্ষ মন,
কোথাও নেই কোনো গান, শুধু বিষাদ-কাজ।
আমি দেখিলাম, এক নীলচে মায়াবী পাখি,
উড়ে যেতে চেয়েও যেন পেল না মুক্তি ডাকি।
শস্যের গন্ধের মাঝে,
হৃদয়ের ক্রন্দন বাজে,
সৈন্য-ছায়ায় ঢাকা, জীবনের বাকি।
মাঠের পরে মাঠ, শুধু শূন্যতা হাহাকার,
সৈন্যের পদভারে, কম্পিত ধরণির পার।
বিক্রির এই খেলা,
যেন এক অন্তহীন ভেলা,
কোথাও নেই আশা, শুধু আঁধার অপার।