ধুলোয় ঢাকা রূপালি আলোয়,
তুমিই মাটির রানি, রহস্যময়।

ভূমি যেন উঠে এসেছিল তোমার কোমর ছুঁয়ে,
নাকি তুমিই ঝুঁকে পড়েছিলে মাটির কাছে?

সূর্যাস্তের আলোয় ঝলমলে রুপালি কাচের মতো,
ধূলিকণা নাচছিল তোমার চারপাশে।

একটা কাঁটা বিঁধেছিল তোমার পায়ের তলায়,
যেন মাটি নিজেই তার সন্তানকে আহত করতে চায়।

হারিয়ে যাওয়া স্বর্গ খুঁজতে যেন কোনো দেবীমূর্তি,
তুমি ঝুঁকে পড়লে মাটির কোলে।

আঙ্গুলের নখে ধরে টেনে তুলতে চাইলে সেই কাঁটা,
যেন কোনো শিল্পী খুঁজছে হারিয়ে যাওয়া সুর।

তোমার ঘামের সঙ্গে মিশে গেল মাটির গন্ধ,
এক অদ্ভুত সুবাস ছড়িয়ে পড়ল চারপাশে।

সেই মুহূর্তে যেন সময় থমকে গেল,
শুধু ছিল তোমার ঝুঁকে থাকা চেহারা আর ধূলিকণার নাচ।

পৃথিবী যেন কাছে টেনে নিল তোমাকে,
তার বুকে চাপা দিল সব দুঃখ, সব কষ্ট।

আর তুমি তখন উঠে দাঁড়ালে,
যেন কোনো ফুল ফুটল মাটির কোলে,
সূর্যের আলোয় ঝলমলিয়ে।

মাটিতে মিশে থাকে এক ছোঁয়া,
এক স্মৃতি, এক রূপকথা -

মাটির গন্ধে ভেজা রূপকথা,
তোমারই ঝুঁকে থাকা চেহারা,

যা কখনোই মুছে যাবে না,কখনোই না...

মৃত্তিকার স্পর্শে, রূপের আভা,
হৃদয়ের বেদনা, প্রেমের ঝরা।