চৈত্রের তপ্ত দুপুরে সবাই যখন ভাত ঘুমে
করে লুটোপুটি, আমি তখন নির্জন  নির্বাসনে।
তন্দ্রা বিসর্জন করে তোমার স্মৃতি হাতড়িয়ে;
বিচ্যুতির গান শেষে কান্নার নীরব আওয়াজে,
বাতাসে কম্পন ছড়াই।


আবেগ দমন করে, অনুভূতিকে জং ধরা বাক্সে বন্দী করে ছুড়ে দিতে চাই মহাকালের স্রোতে।
বিবর্ণ র্স্মৃতিগুলো মনের কোষাগারে
বিশ্বাসের হয়ে যাওয়া ধর্ষণ মনে করে;
বিবস্ত্র হৃদয়ের আকুতি, বীণায় করূণ তান তুলে।
নিমেষেই যন্ত্রণার সাগরে ডুব সাঁতার শেষে;
ভোতা অনুভূতি নিয়ে আরশির সামনে দাড়াতেই,
নীরব আওয়াজে  নিজেকে জানায় ধিক্কার।


বিবেকের যাঁতাকলে আমি হয়ে উঠি
নিজের কাছে নিজেই অপরাধী,
ভালোবাসা হয়ে উঠে প্রশ্নবিদ্ধ।
হৃদয়ে প্রবল বেগে বয়ে যায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব
আমি ডানা হারিয়ে উইপোকার মতো
মুখ থুবড়ে পড়ে রই।
নিদারুণ যন্ত্রণা সাথী করে ;চাতকের মতো প্রহর গুনি,
শেষ বেলায় এসে কালোমেঘের রেশ কেটে
অবলোকন করতে পারি একফালি চাঁদের হাসি।