এ বড় বিপন্ন সময় নীরব পৃথিবী বড় অসহায়।
বিপন্ন পথিক পথে নেই শান্তির কোনো আশ্রয়।
সময়ের বিপন্নতা আঁকাবাঁকা পথে হেঁটে চলা।
ছুটে চলা বাঁকা পথে মনে হয় যেন পথভোলা।


চোর পুলিশের গাঁটছড়া সবখানে সব দিকে।
বিপন্ন সময়,  বিপন্ন দেশ, বিপন্নতা চতুর্দিকে।
সাধু অসাধু মিলে মিশে আজ সব একাকার।
দেখেও কেউ দেখে না নির্বাক সব নির্বিকার।


চারিদিকে খুনোখুনি , স্বার্থের টানাটানি বাড়ছে।
অসহায় লাখো প্রাণ,  দিনে দিনে  শুধু কাড়ছে।
রক্ষক এখন ভক্ষক বটে,  কুবুদ্ধি তাদের ঘটে ।
দেশটা পেলে বেঁচে খাবে, এই ফন্দি বসে আঁটে।


খাটের নিচে টাকার পাহাড়, সোনার ইটের বাড়ী।
সোনার থালায় কেউ বা খায় চাপে সোনার গাড়ী।
কেউ পিসে মরে গাড়ীর নিচে জোটেনা আহার।  
কারো গলায় ঝোলানো দেখি কোটি টাকার হার।


পুলিশের কাছে ঘুষ হালাল,  চোরের কাছে চুরি।
ঘুষ তো এখন হালাল বটে,  দেখেই লাজে মরি।
হালাল নীতি নেই নেতাদের, টাকা নীতির মুলে।
গিরগিটিদের রঙ্ ধরে সব, নীতি আদর্শ ভুলে।


মায়ের মুখে দুঃখের ছোঁয়া, বাবার চোখে জল।
ছেলের ঘরে বাবা চাকর এ কোন পৃথিবী বল ।
খাবার জোটেনা দুবেলা ঔষধ আসেনা অসুখে।
এ কোন সুসভ্য সমাজ, ধরেছে কোন অসুখে ?


বধির মানুষে ভরেছে পৃথিবী, বিলুপ্ত মানবিকতা।
সিংহের চেয়ে হিংস্র মানব, হারিয়েছে লৌকিকতা।
ফিরে এসো মানবিকতা নিয়ে, দূরে থাকা আর নয়।
কালো অন্ধকারে ডুবছে পৃথিবী, বড় বিপন্ন সময়!
                          -: :  : :  : : -