কিভাবে কখন হারিয়ে গেছে শৈশব কোন খানে।
কাঁধের উপর দায়ের বোঝা কি জানি কোন টানে।
খেলার বয়স হয়নি তো পার হয়নি তো পথ চলা।
জীবন যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে ছেড়ে শৈশবের খেলা।


যেই মেয়েটি মায়ের সাথে যেত কাজের বাড়ী।
কাজের মেয়ে সেজে এখন কাজ করে তার বাড়ী।
যেই ছেলে টি সকাল হলে করত পড়াশোনা।
স্কুল ছেড়ে পথ শিশু সে খোঁজে কাজের ঠিকানা।


কেউ বা ক্ষুধার জ্বালায় পান্তাভাতের লোভে।
চাকর হয়ে উঠল কখন অজানা সেই কবে।
কেউ বা আবার হুকুমের দাস বন্ধ খাঁচার পাখি।
কাজের ভারে নুইয়ে গেছে নিত্য করুন আঁখি।


যেই মেয়েটি নিত্য পথে খেলত ধূলা নিয়ে।
অকালে তার শৈশব বোধন হচ্ছে পুতুল বিয়ে।
নিস্পাপ শিশু নিষ্পেষিত জীবনের যাঁতাকলে।
শৈশব সে তো লাঞ্ছিত তার শ্রমিক হবার ফলে।


স্কুল ছেড়ে কারখানায় কাটে বস্তি থেকে বিচে।
শৈশব  কেন নিষিদ্ধপল্লীতে কোন সমাজের নিচে।  
যুগ যুগ ধরে লাঞ্ছিত তারা বিপন্ন শৈশব যার।
তাদের কি পারোনা দিতে বাঁচার অধিকার ?
                 *****