তাপ ঝরানো মাঝ দুপুরে পথে পথে ঘুরে যোগী।
ভাঙ্গা ছাতা মাথার উপরে যেন শীর্ণকায় রোগী।
দেশে দেশে করে ভিক্ষা বৃত্তি শীত গ্রীষ্ম বর্ষা।
ভিক্ষায় তার বাঁচার আশা একমাত্র ভরসা।
নিত্য দিনের কাজের শেষে ফিরতে সন্ধ্যাবেলা।
দস্যু এসে ঘিরল পথে কাড়ল খাবার থালা।
ঝুলির মাঝের রাখা ছিল কয়টি মাত্র টাকা।
চড় মেরে সে সেটাও নিল ঝুলি হল ফাঁকা।
করুণ সুরে বলল যোগী নিও না সব ভাই।
ঘরে ফিরে আর খাবার মত আর কিছুই নাই।
দস্যু বেগে বলল রেগে চালিয়ে দেব গুলি।
চুপচাপে যাও এখান থেকে পাবেনা এই ঝুলি।
ব্যথাতুর মন নিয়ে ঘরে ফিরল দিনের শেষে।
জল খেয়ে মেঝের পরে বিছানায় যায় মিশে।
ঘুম ভেঙ্গে দেখে যোগী নিজো ঘরের মাঝে।
চারিদিকে তার খাবার থালা ঘরে রাখা আছে!
ভিখারির ধন কাঁধে নিয়ে চললো খুশি মনে।
ছড়িয়ে দিলো মালগুলি সে ছোট্ট ঘরের কোণে।
এক ঝটকায় ঢুকল ঘরে দরজা করে বন্ধ।
ভিক্ষারির মাল নিয়ে দস্যু এবার হলও অন্ধ।
            ************