রুগ্ন সমাজ ভগ্নপ্রায় স্বাস্থ্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
পথ শিশু হতে বৃদ্ধ বনিতা ধনী ও দরিদ্র নির্বিশেষ।
কখনো অনাহার কখনো অর্ধাহার কখনো কুখাদ্য।
দারিদ্রতা থেকে অপুষ্টি, অপুষ্টি থেকে রোগাক্রান্ত।


দেশ জোড়া আবার ভেজাল খাদ্য গোগ্রাসে গিলে।
মৃত্যু আবার দেয় হাতছানি প্রতিনিয়ত তিলে তিলে।
কুড়িতে বুড়ি চল্লিশে ক্ষয়িষ্ণু দৃষ্টি ষাটে তো নিঃশেষ।
জীবনের হিসাব মেলেনা সেখানে হয়তো সবশেষ।


কীটনাশকের যথেচ্ছার ব্যবহার খাদ্যে ফরমালিন।
আধুনিতার হাত ধরাধরিতে হবে সভ্যতায় বিলীন।
বিবেচনাহীন প্রীতিযোগীতা চলছে অন্ত-বিহীন পথে।
মত্ত যেন মরণ খেলায় শত সহস্র জীবনের সাথে।


প্রাচ্য সভ্যতা দেয় হাতছানি পরকীয়ার খোলা দ্বার।
যৌনতায় ছড়ায় মরণ ব্যাধি এইচ আই ভি নাম তার
সংযত জীবন সংযমী রেখো , অসাবধান হও যদি।
ক্ষনিকের ভুলে ধীরে তিলে তিলে আসবে সে ব্যাধি।


যক্ষা সেতো ফাঁদ পেতে রয় সমাজের চারি কোলে।
জাঁকিয়ে বসে তার শরীরে কোন অপুষ্ট মানুষ পেলে।
খিদে ও ওজনের হ্রাস দিবানিশি কাশি সন্ধ্যায় জ্বর।
আরো নানান উপসর্গ নিয়ে যক্ষা রোগের উপহার।


স্যাঁতসেঁতে বস্তি ঘিঞ্জি বাসস্থান বদ্ধভূমির জলাশয়।
ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও গোদ বাহি মশার আদর্শ আশ্রয়।
ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী লার্ভা সুপ্ত থাকে বছর চারেক ধরে।
মশার বংশ ধ্বংস নাহলে সেই মশায় মানুষ মারে।


চলো যাই গড়ে তুলি পরিচ্ছন্ন সমাজের পরিবেশ।
অসম বন্টন হোক প্রতিরোধ সুষম খায় নির্বিশেষ।
আগামী প্রজন্ম হোক নীরোগ এই সবার অঙ্গীকার।
মেনে চলি সার্বিক স্বাস্থ্যবিধি হবে রোগের প্রতিকার।
                          -: :- : :- : :-