কবিতার বিভিন্ন ঘরানা নিয়ে রবিবারের আড্ডা-২


কেমন আছেন আসরের বন্ধুরা? দীর্ঘ অপেক্ষার পরে অবশেষে এল আরেকটি রবিবার।  
কবিগুরুর রবিবারের অনুভূতি দিয়ে আজকের রবিবারের আড্ডা শুরু করি।


"রবিবার সে কেন, মা গো এমন দেরি করে ?
ধীরে ধীরে পৌঁছয় সে সকল বারের পরে।"


যাহোক, রবিবারের ছুটির মজা উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে একটু কবিতা নিয়ে আড্ডা মারলে কেমন হয় বন্ধুরা?
আজকের আড্ডার মেনুতে রাখলাম এপিথেলামিয়াম কবিতা (Epithalamium )


এটি মূলত গ্রীকদের কবিতা। নববধূ বিবাহ বাসরে যখন প্রবেশ করতো,  তখন দরজায় কয়েকজন ছেলে ও মেয়েদের দ্বারা  নববধূর প্রশংসা করার জন্যে এপিথেলামিয়াম কবিতাকে সুর দিয়ে গান গাইতো। স্বাভাবিকভাবেই, এ ধরণের বিবাহ উপলক্ষে কবিতার মধ্যে থাকতো আশীর্বাদ ও সুখের পূর্বাভাসের আহ্বান।বিশ্বাস করুন আর নাই করুন আমার জীবনের প্রথম কবিতা এই এপিথেলামিয়াম কবিতা।  পঞ্চাশের দশকে বিবাহ উপলক্ষ্যে এ ধরণের কবিতা অতিথিদের মধ্যে বিলি করার রেয়াজ ছিল গ্রামে ও শহরে।  


এপিথেলামিয়াম কবিতার উদাহরণ :-
(১)
ভালোবাসার হাত ধরে চোখের উপরে চোখ,
দুটি প্রান্তের দুটি মন, সুখী জীবন হোক।
গোলাপের মতো সুন্দর হোক দীর্ঘ পথ চলা,
দুটি হৃদয়ের মিলনে হবে ভালোবাসার কথা বলা।


দাম্পত্য জীবন সুখের হোক আকাশ উজাড় করে,
সুখ আর দুঃখ ভাগ করে নিয়ে মিলুক মমতা ভরে।
পরম ঈশ্বর যেন সুখী রাখে শতবর্ষ ধরে জুটিকে ,
ভালোবাসায় ভরা থাকে যেন একই বৃক্ষের বৃন্তে।


(২)
শুরু হলো তোমাদের পথ চলা
দীর্ঘ পথে, দীর্ঘ মাঠে হবে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়
দুটি নাম যোগ হলো আজ দুটি মনে
তোমার নিজের ও অজানা এক হৃদয়ের সঙ্গে
একটি কাগজের নৌকোকে ভাজ করে
প্রতিটি পদক্ষেপে জ্বলে উঠুক সমষ্টির তারা  


উপসংহার:-
আজকের কবিতার আড্ডায় আপনাদের আমন্ত্রণ রইলো। কবিতার উপহার দিয়ে  আড্ডার পাতাটিকে জমিয়ে তুলুন এপিথেলামিয়াম কবিতা দিয়ে।


ভালোবাসা সবাইকে!!