ঝরো-ঝরো ঝরো-ঝরো ঝরে রঙের ঝর্‌না।
আ য়   আ য়   আ য়   আয় সে রসের সুধায় হৃদয় ভর্‌-না ॥
সেই   মুক্ত বন্যাধারায় ধারায়     চিত্ত মৃত্যু-আবেশ হারায়,
ও সেই   রসের পরশ পেয়ে ধরা নিত্যনবীনবর্ণা ॥


কবি  শম্পা ঘোষের ' কবিকে আমি মন দিলাম' শিরোনামটি দেখে ভাবলাম দেখি কবি কোন কবিকে মন দিলেন? কিছুটা আন্দাজ করেছিলাম এ নিশ্চয় সেই মহামানব কবি , যাকে মন দিলে জীবন সার্থক হয়ে যায়।
কবিতাটি পড়ে দেখলাম আমার আন্দাজ ঠিক। কবি শম্পা অনুভব করলেন এক মহামানব অথবা মহাসাগরের সর্বগ্রাসী টান, যে টানে তিনি এই সহজ সরল ভাষায় রচনা করলেন এক অপূর্ব শ্রদ্ধাঞ্জলি তাঁর জন্মদিনে। কবি শম্পার মনে সেই সর্বগ্রাসী টান হয়তো তাঁর পরম দীক্ষা লগ্ন অথবা ইষ্টমন্ত্র। সেই অদ্ভুত মানুষটি কবির জীবনে মহাতীর্থ। খুঁজে পেলেন কবি তাঁর মধ্যে প্রেমের ঘূর্ণিপাক।পেরিয়ে যাবার জন্যে পেলেন তিনি খোলা আকাশ।
যাকে ভুলে যেতে চাইলেও বার বার ফিরে আসতে হয় কোনো এক অজ্ঞাত আকর্ষণে।


কবিরা হয় জানি নির্জন-কারী অথবা উদ্দাম। কিন্তু এ কবি তো সবকিছুর প্রথাবিরুদ্ধ?  নাহলে একজন কবি হয়ে কিকরে তিনি তৈরী করলেন বিশাল বিশাল দালানওয়ালা একটা বিশ্ববিদ্যালয়? যিনি হয়ে উঠলেন ধর্মভীরু বাঙালির কাছে রবিঠাকুর? যে ঠাকুর বাড়ির দর্শনে দলে দলে ছুটে আসে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীরা, আবার সহজ পাঠ না পড়া মানুষেরা ? রবীন্দ্রনাথ যখন এতটাই জনগণের তাহলে বাঙালির নীড পাঁচটা নয় বোধহয় ছটা। খাদ্য,বস্ত্র ,বাসস্থান,শিক্ষা ,চিকিৎসা আর রবীন্দ্রনাথ। তাইতো আমাদের সবাইকার, কবি শম্পার মতো মন ভালোতে আর মন খারাপে দরকার হয় সেই রবি ঠাকুরকে।


সবশেষে কবির সুরে সুর মিলিয়ে বলি ....
" লহ প্রণাম,লহ প্রণাম"
  "জেগে উঠো আজ রবির প্রভাতে"


আমার ভগিনীতুল্য শম্পা ঘোষ কে জানাই আমার অন্তরের অভিনন্দন আসরে এই সুন্দর কবিতাটি উপহার দেবার জন্যে  !!


সবাইকে জানাই প্রীতি ও শুভেচ্ছা।