আড্ডা কলকাতার হৃদয়,
যেখানে সময় ধীর হয়ে যায়।
রাস্তাঘাট আর পুরোনো চায়ের দোকান অথবা
এক চিলতে বারান্দা।
আড্ডা কলকাতার ঐতিহ্য ,
যা নিছক কথাকোপথন কে অতিক্রম করে।


শব্দ,হাসি কে ভাগ করা যেন এক স্বপ্নের সিম্ফনি।
বাঙালির নিজস্ব অধিকারে একটি শিল্প।
টেবিলের চারপাশে, বাঁশের ছাউনির চায়ের ঠেকে,
চলে আড্ডার তুফান।


বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে কবি, বেকার স্বপ্নদ্রষ্টারা
একত্রিত হয়ে বোনে গল্পের বুনুনি।
তীব্র তর্ক করে জীবনের রহস্য নিয়ে চিন্তা করে।


পুরোনো বইয়ের ঘ্রাণে মিশে যায় চায়ের গন্ধ,
হুগলি নদীর ঢেউয়ের মতো ওঠা নামা করে।
রাজনীতি, সাহিত্য দর্শন কিছুই সীমাবদ্ধ নয়,
বিশ্বের সমস্ত সমস্যা গুলোর সমাধান খুঁজে পায়।


কলেজ স্ট্রিটের সরু গলিতে
প্রাচীন বটগাছের নীচে কবিরা শ্লোক আবৃত্তি করে।
তাদের আত্মা সময়ের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত হয় ,
গোধূলিতে নাচতে থাকা
আগুনের মাছির মতো
তাদের আবেগ প্রজ্বলিত করা বিপ্লবের জন্ম দেয়।


ওহ কলকাতা, তোমার আড্ডা
একটি ধারণার উদযাপন, কৌতূহলীদের আশ্রয়স্থল।
যেখানে অতীত বর্তমানের সাথে মিলিত হয়,
এবং ভবিষ্যৎ একটি রূপ নেয়,
সৌহার্দ্য এবং অন্তহীন আড্ডার উষ্ণ আলিঙ্গনে।


তাই পৃথিবী ছুটছে ছুটুক ,
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে,
এস আমাদের গল্পগুলো ভাগ করি।
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র আড্ডা বেঁচে থাক,
আমাদের চিরকালের ঐতিহ্য কে আবদ্ধ করে।