সেই সূর্যটা যে কখন ডুবে গেছে টের পাইনি-
আজ মাথার ওপর অন্য এক সূর্য,
আমার আকাঙ্ক্ষিত সূর্য।


সেই সূর্যটা আলো কম ছিল,
সেই নরম আলোয় হেলান দিতাম শীতের ভোরে।
সেই আলো ঝরে পড়তো, গোধূলির বুক চিরে
উড়ে যাওয়া পাখিদের ডানা হতে।
সদ্যোজাত শিশুকে দেখে
মায়ের মুখে ফুটে উঠতো সেই আলো।
কিংবা নব বধূর মুখে লেগে থাকতো
প্রথম মিলনের শেষে।


কিন্তু সেই আলোয় পুরো পৃথিবীটা দেখা চেতনা।
আমি পুরো পৃথিবীটা দেখতে চেয়েছিলাম।
খুঁজে, কেড়ে নিতে চেয়েছিলাম
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুখ টাকে।


আজ আমার কাছে আমার কাঙ্ক্ষিত সূর্য,
প্রখর আলোয় দৃশ্যমান পুরো বিশ্ব।
কিন্তু কোথাও সুখ নেই একবিন্দু।


সূর্যটা যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে কাছে,
প্রখর তাপে ঝলসে যাচ্ছে শরীর,
ফেটে যাচ্ছে পায়ের তলার মাটি,
তৃষ্ণায় ফেটে যাচ্ছে বুক,
ঝাপসা হয়ে এলো চোখের দৃষ্টি।
কোথায় সুখ? পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুখ?
তবে কি সেই সূর্যটা?
নিঃশ্বাস বন্ধ করে উঠে এলো এক রাশি হাহাকার
আহ! এক ফোটা জল!!!