ডাকিছে আজ বদর থেকে
কে-কে যাবি আয় না ছুটে ;
আয় ছুটে আজ দৃপ্ত-পদে,
রক্ষা করতে ধর্মটাকে।
এই তোরাই তো সেই তোরা,
যে
গেছিস ছুটে বদর পাণে;
হাজার সৈন্যের সামনে
সেদিন
তিন'শ তেরয় বিজয় আনে।
ধর্মের তরে জীবন দিতে
তোদের জুড়ি নেইকো ভবে।
রাষ্ট্র-ধর্ম ইসলাম কেনো,
বাদ হবে বল আজকে তবে??
দেখ ইতিহাস ওহুদ-দিনের
তিন হাজারকে সাত'শ রুখে।
বক্ষে তাদের সাচ্চা ঈমান
আল্লাহ নামটি ছিল মুখে।
মূতার প্রান্তে তিন
হাজারে
রুখছে দেখ লক্ষ সৈন্য।
তবুও ফল ওদের করে,
নয় পরাজয় বিজয় ভিন্ন।
তেমনি সালার আজকে
কোথায়,
যেমনি ছিল খালিদ ওরে!!
তাদের রক্ত মুছে দিবি,
অবুঝ, তোদের আঁখি লোরে!
কে হতে চাস খালিদ সম,
আয় না ছুটে ভাইটি আমার,
রক্ষা করতে ধর্মটাকে
কাফন-মাথায় নামতে
আবার।
সিংহাসনের জন্য আজই
একটি ওমর খোজ না ওরে!
নির্যাতিতা লক্ষ মা-বোন
কাতর কণ্ঠে ডাকছে
তোরে।
তাদের লাগি' ইবনে
কাসিম
হতে রাযী আজ কে-কে বল?
বজ্র-মুঠে কৃপাণ হাতে
নব বদরে চল্ রে চল্।
চল্ তোরা আজ নব জঙ্গে
ধর্মের তরে রক্ত দেব,
রাষ্ট্র-ধর্ম ইসলাম রক্ষায়
প্রয়োজনে শহীদ হবে।
জীবন থেকে ঈমান বড়
এই কথাটা করতে প্রমাণ,
মৃত্যু-ভয়কে করতে খাটো,
দৃপ্ত পদে হও আগুয়ান।
ডাকছে তোদের নব জঙ্গ,
রক্ষার লাগি' বঙ্গ-ভূমি।
বঙ্গে ধর্ম করতে সাঙ্গ,
নাস্তিক এলো রক্ত চুমি'।
সকল কুফর এক হয়েছে,
লক্ষ তাদের ইসলাম বিনাশ,
ইচ্ছা তাদের, দেখবে শুধু
মুসলমানদের ছড়ানো লাশ।
আয় না ভুলে সব ভেদাভেদ,
এক কাতারে যাই
দাঁড়িয়ে।
বঙ্গে তাদের রঙ্গ-লীলার
সাঙ্গ-পাঙ্গ দেই তাড়িয়ে।
এক কাতারে লড়ত যারা
আছিস রাযী, তোদের
ঠোঁটে,
শাহাদতের ঐ পেয়লা
ছোঁয়াতে আসছে হুর ছুটে।
হয়তো শহীদ, নয়তো গাজী,
এই মন্ত্রে দীক্ষিত যারা,
শাহাদতের অমীয় স্বাদ
না পেলেও জয়ী তারা।
আয় কে আছিস জয়ী হতে,
বঙ্গ দেশের রঙ্গ-ভূমে।
জাগ্ ওরে জাগ্ সিংহ-
জাতি
রইবি কতো অঘোর ঘুমে?
তোদের ঘরে চোর ঢুকেছে,
করতে চুরি ঈমানটাকে।
প্রথম নিবে রাষ্ট্র-ধর্ম,
এরপরে তোর কণ্ঠটাকে।
ক্রমেই নিবে সব কিছু তোর,
যদিও তুই না হোস রাযী।
শেষ পরিণাম জীবন
কিংবা
ঈমানটাকে ধরবে বাজি।
এসব থেকে পেতে রক্ষা
ঐক্যবদ্ধ হওরে সবে।
তবেই তোদের বিজয়-কেতন
উরবে জানিস এইনা ভবে।
পমগ্রাম
২৮শে ফাল্গুন ১৪২২