মাতৃ আদর সহেনি নিয়তি
গলেগেছে উষ্ণতায় মোমের লেখা ভাগ্যপান্ডু।
শুনিনি হেমন্তে পাতা ঝড়ার শব্দ-
বসন্তে কহুতান,
দেখিনি টুকটুকে শিমুল ফুল-
শীত শীত, রাত রাত।।
দোয়েল শালিক, আলাদীনে দত্য-
শুনেছি দেখিনি।
শিয়রে খুজে পেয়েছি-
জননীর শীতল হাত,
দরজার বাহিরে হুতুমপেঁচা-
জানালা, চৌকাঠ এমনকি
বেড়ার তেঁতের সরু ছিদ্রোগুলো-
আটকে রেখেছে চামচিকা-বাদুর।
জননীর শবযাত্রা প্রস্তুতে উঠে দাঁড়ালাম,
শীত শীত, রাত রাত।।
মাকড়শার জালে শ্বাসরুদ্ধ প্রায়,
ইদুরনিতীর ক্রোশাঘাতে
হারিয়েছি জুতা-
সর্প দংশনে মরছে নকুল,
চাল ভেঙ্গে বেড়িয়ে দেখি-
পশ্চিমাকাশে গরেছে রবি-
উষ্ণতার কাতর ব্যাঙ,
গ্রীষ্মের শেষভাগে উঠেছি জেগে।
তবুও শীত শীত, রাত রাত।।
জীবন বসন্ত কেটেছে নির্জনে-
তাই মুখেমুখে মনেমনে -
শীত শীত, রাত রাত।