আজ রাতের ঘুম ঘুম চোখ আড় ভাঙে গুমোট
ধূলি কান্নার অকাল রোদনে ; সার্সির ফাঁকে
বাসন্তিক প্রভাত লাজুক নয়নে প্রস্ফুটিত হওয়ার
আগে মাথাকুটে মরে তীব্র আর্তনাদে , ঠিক সেই
মেয়েটির মত , যার গতরাতে হয়েছিলো নির্দয়
প্রেমহীন বাসর-ধর্ষণ । এ কাহিনী নতুন কিছু করে
না যোগ । বিয়োগের হিসাবে এ ভাবেই থেকে যায় --
শাল-পিয়াল-পলাশের পাতা ঝরা বস্ত্র বিমোচন ।


এদেরই মত নামহীন ফুলের বুকে নিয়ত পদচারণা
করে পৌরুষ ঝড়ো উথাল পাথাল স্বামীত্বের দৃঢ়
অধিকার বোধ । যে স্বীকৃত অহং-এ ভাঙে শাখা
প্রশাখা । যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যায় কতই না পলাশ কুঁড়ি
অথবা শালের রেণু মাখা মুক্তময় ফুলেল অভিলাষ ।


শান্ত প্রকৃতির মাঝে এখন ধোঁয়াটে নিস্তব্ধতা ---
স্বামী , তুমি কী প্রভু ? বিধাতা না হয়ে বন্ধু হলে ,
আমার ক্লিটোরাস আবেগের মাঝে জন্ম দিত
তোমারই দেওয়া নব-কিশলয় । পঞ্চম সুরে গাইত
কোকিল বসন্ত আলাপ । বন্ধু হয়ে ওঠো আগে ॥