অবশেষে ঘুমিয়ে থাকার পর যে
আলো মাঠ-ঘাস-ফড়িং এর ডানায়
প্রতিফলিত হল, সভ্য মানবের ক্ষুধা
উঠলো বেড়ে ।
যে ট্রেন ছাড়বে, দৌড়াবে রেলের
শরীরের আকর্ষণে তাও ঠাসাঠাসি ,
পারিবারিক সম্পর্কের মধুময়ের জন্য ।
এ সবের মধ্যে কাল রাতের যে হরিণ
শিকার হয়েছিল , তার নিঃস্পন্দন
ঘোলাটে চোখের দিকে তাকিয়ে
বাঘের চোখ বুজে থাবায় থাবায় লেহন ;
পেপারে নামহীন দেহের সন্ধান –
এক টিপ খৈনী মুখে গুঁজে ক্ষণিক
চর্চা- ষ্টেশনে নামার তাড়াহুড়ায়
দেহ পরে থাকে দোমড়ানো অক্ষরে ;
শাড়ির আঁচল কখন যে ঠোঙা
হয়ে যায় তার ইতিহাস রাখে নি
মনে নাগরিক ‘সভ্য’ জীবন ।
সুদূর আফ্রিকায় হরিণের সংখ্যার
ভারসাম্যের জন্য নখে দেয় শাণ-
শুধু অপেক্ষা ঘুমের ,
কাল এসো আবার নতুন দিন
শোনো , তাজা খবর পাবে ।।