জানা গল্প ( পবিত্র চক্রবর্তী )
***************************************************************************
ধোঁয়া ওঠা হাঁড়িতে গভীর ভাবে নিঃশ্বাসের
সম্পর্ক । “ আজ বড্ড খেয়ে ফেললাম , চমৎকার
তোমার হাতের রান্না ।”
পঁয়ত্রিশ বছরের কাহিনীর নানা রোমন্থন ।


দুপুর থেকে ঘুমিয়ে পড়া দিনের আলোয়
টুকরো টুকরো ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি – “ কী গো
শোবে কখন ? ওষুধটা খেয়েছ !”


ব্যালকোনিতে দাঁড়ানো দুটো আলতো
হাতের স্পর্শ ; মৃদু আলোর প্রতিবিম্বে রাস্তায়
ভেসে ওঠে কিছু কলরব – “ চোর ! চোর !”


ব্যথা কোমরে দম নিয়ে বৃদ্ধ পৌরুষে
বলি – “ ব্যাটাকে ধরেছিস রে!”
- “ ধরবো কী ! গায়ে গন্ধ !”
আলো তখনও তার কথা রেখে চলেছে –
ইলশে গুঁড়ির সৌরভ বাতাসে বাতাসে ।


দগদগে ঘা , কুব্জ শরীর –
শান্ত গলায় বলে , “ দিন আমায় পুলিশে
আমি চোর ।”


“ আজ বড্ড খেয়েছি , রান্নাটা চমৎকার –
ইলশে গুঁড়ি এসো কিন্তু আবার ।”
ছায়াকে সঙ্গী করে পেটে গামছা কষে ভেসে
যায় কুব্জ শরীর অন্ধকারের স্রোতে ।।