পাঞ্চজন্য ( পবিত্র চক্রবর্তী )
*************************************************
ঊষার সৌরভে হাঁটিলাম দিগন্তের কোলে ।
চৈত্রের পুর্বরাগকে বলিলাম , আজও ভুলে
যাও নি হৃদয় বিতরণ ! সহসা ভাস্করের সাতটি
কিরণে বিদীর্ণ হইল , প্রান্ত হইতে তৃণের বক্ষ ---
নীরব রহিল প্রত্যুত্তর । শান্ত পেলব সকাল ।


জীবনের খাতায় কাটি কত জ্যামিতিক পরিমাপ --
গোধূলিবেলায় গাঙচিল তোলে বাংলার শঙ্খ রব ;
মনে হয় বাজিল পাঞ্চজন্য -- সংগ্রামের ইঙ্গিত ,
নিশীথের নিশ্চুপ পদচারণা । গভীর শ্বাসে উষ্ণ হয়
পেশীর সাথে বিছানার আপেক্ষিক সংগম ।


ধীরে ধীরে ধর্ষিত শরীর ওঠে ঘেমে ; স্বপ্নের জালে
পাই না দেখিতে তোমায় -- মন আমার । ঠিক এভাবে কত যুগ কাটিয়াছে । চলি তাও মনের
সাথে । পৌরুষ আছে কিনা মেঠো পথ দাও বলে ,
নির্যাসের পরে ধান যেভাবে চায় উত্তর কালের
গহ্বরে নিমজ্জিত মাটির কাছে ।


করিলাম প্রশ্ন হৃদয় তোমায় , চাহিলাম পরিচয় --
ছিন্ন হৃদয় পুনঃ ঘুমন্ত আপাত নিঃশেষিত বসন্ত-চৈত্রের মত উত্তরিল , নারী-পুরুষ যাহা ভাবো ।
সেলাই করা হৃদ প্রকোষ্ঠে আজও স্পন্দিত হয় --
প্রেম সৌরভ গায়ে মেখে স্বপ্ন দেখে অলীক
বৈতরণীর উজান পাশে -- নিভৃতে- নিশ্চুপে ।


সহসা চকিত হয় , শ্রমজীবী মানুষের কোলাহলে -
ছেঁড়া মন জানতে চায় -- স্বপ্ন কী শুধু মায়াময় ?