ধর্ম কারোর একার সম্পত্তি নয় বলেই প্রতি মুহূর্তেই
নিজেকে ধর্মান্তরিত করি । তুমি কয়েক ওয়াক্ত নামাজ
আর তুমি , হে বিজ্ঞ পুরুত - কয়েক গাছি সূতো জড়িয়ে
গা চুলকাতে চুলকাতে আল্লার বান্দা কিংবা ব্রহ্ম জ্ঞানের
বিপুল ভাণ্ডার ভাবো ! ভাবতেই পারো কিন্ত আমি কড়ে
আঙুল দেখিয়ে দিন থেকে রাতে বিছানায় এলানো  
অবধি নিত্য পোশাক পরিবর্তনের মত ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয়
মুখোশ পড়তে ভুলি না । রোজ পড়ি আর খুলি ।


হাড় বার করা লোকটা ফুটপাতকে থালা ভেবে দিনান্তে
নিয়ত রোজা বা উপোস ভাঙলেও , আল্লা-ঈশ্বর তাকে
বুকে জড়িয়ে নেয় । আতর আর চন্দনের লেপ না থাকলেও , ধুকপুক করা পাঁজরার আড়ালে আল্লা আর
ঈশ্বর তার জয়গান শোনে রোজ । বাকী থাকলাম আমি-
আমি মানে তো আমরা ! দুধ আনা থেকে বৌয়ের সোহাগে শুরু থেকে শেষ হয় ধারণের ধর্ম । অবশ্য এ ভাবে চলবে কী লিখিত ধর্ম ? অবশেষে উঠবে খণ্ডিত
চাঁদ , নানান চোখ নানা কথা ভাববে । এবার তবে
আগামীরা পন্থা নেবে নতুন , শুধু বুঝবে মানুষ নিজেই
বর্মহীন বর্ণহীন ধারক-ধর্ম । শান্ত হোক বসুন্ধরা ॥