একটি নাতিদীর্ঘ কবিতা
পদযাত্রা (কবি - পবিত্র চক্রবর্তী)
*********************
যায় তখন সূর্য আমার ছায়ার সাথে
পথ চলে;ক্লান্ত -শরীর ধুলোয় মেঠো
প্রান্তর চায় ক্ষণিক অঞ্জলি জল.
ঘুঘু পাখির ডাকে দুপুর ভাঙ্গে দিবানিদ্রা ;
সেদিন আজও চলেছে,থামেনি আমার
কর্কশ পদচিহ্ন দিক্ দিকান্তরে .


মহুয়া,তুমি রেখেছ কী মনে ?
উত্তাল হয়েছিল ,আমার যুবক বক্ষ !
বেসামাল হৃদয় আলিঙ্গন করেছিল
অরণ্য তোমায় !


ভূঁইফোড় অঙ্কুরের মাঝে দিয়েছিলাম
গভীর নোনতা চুম্বন ; আস্বাদনের পরে
যুগ চলেছে আপন তালে.


স্তব্ধ হয়নি যাত্রা সুদূরের আহ্বানে ,
কার তরে ? লক্ষ্যমাত্রা রেখে
চলেছিলাম অলক্ষ্যের সন্ধানে !


ভুলে গেছে প্রান্তর -অরণ্য -অঙ্কুর -
পদচিহ্ন গভীর হয়েছে ,
হয়েছে শরীর ঘুমে ক্লান্ত.
******************