মৃত্যুর পরে , আমার দেহটাকে
রেখে দিও গঙ্গা আর পদ্মার বুকে ; তারপর ঢেউয়ের তালে তালে
পাসপোর্ট বা বেয়োনেটকে ,
বুড়ো আঙুল দেখিয়ে -
যেতে পারি গাঙউরের জলে হয়ত বা
হাজারদুয়ারির পাশ দিয়ে সুন্দরের খাঁড়িতে


গঙ্গা বা পদ্মার মাছেরা
আমার ভেপসে ওঠা মাংস খেয়ে
মহাভোজ করবে ;
ওদের নীল চোখেই আমি দেখব
" বাংলার মুখ " !
ওদের পার্শ্বরেখায় স্পন্দিত হবে
কবিতায় পড়া -
পৌষলক্ষ্মী ভাদু কিংবা ভাটিয়ালী গান ;


অনন্ত স্রোতে ভাসতে ভাসতে
মাছেদের অনূরোদ করবো ,
আমায় একটু একটু করে খাও ;
মৃত্যুর পরেও বাকী আছে
পাড়-ভাঙার গান ,
জাল ফেলার কাহিনী ,
নীল সমুদ্রের অজানা আহ্বান !


মাংস না থাক হাড় -
স্পর্শ করবে জলের তালে
'৪৬-'৪৭-এর বাংলার চরণ !!