এখানে রাত নামে তারাদের শরীরে ভর করে । কুয়াশা ওড়নায় আবৃত জোনাকির দল একে
একে বাতি জ্বালে পল্লীর শিরায় উপশিরায় ।
কানা বৈরাগী শোনায় মহুয়া মদির গান । কোমল
নেশায় রাতের ঘনত্ব বাড়ে । মাটির কোলে মাথা
রেখে উষ্ণতা খুঁজি আমি । শ্রান্তি নামে দেহে ।


চোখের পাতা ভারী হয়েছিল কোন এক ঘড়ির কাঁটায় । সময় এখন নিলামে বিক্রি হয় । চেয়ে দেখি , সহস্র স্বর্ণাভ বর্শায় বিদ্ধ দেবদারু পাতা ।
যে নদী কাল নেচে ছিল আমার পায়ে , আজ তার
শরীরে ছুঁয়ে আছে নামহীন লাশ । বারুদ মাখা
খবরের পাতা ঘোষণা করে - স্বপ্নের ঘড়ে মাথা
কুটেছে নারীর নরম শরীর গত রাতে ।


এইভাবেই নিয়ত শেষ হয় আপেক্ষিক উষ্ণতার রাত । কবি তাও লিখে চলে কাব্য ।
এইমাত্র শীত ঘুম ভেঙে জেগে উঠলো গোলাপ কুঁড়ি ॥