উষ্ণতার কাছে হার মানলো অসংখ্য স্রোতস্বিনী --
তারা এক এক করে জোয়ার-ভাটায় মশগুল ।
আমি ভয় পাই উপচে পড়া জোয়ার ; যদি ও
মারণ ঢেউয়ে পথ হারাই ! তবুও দেখি ।


এবার শীতে ভাটাদের পূর্ণতা । হাড় বার করা
কূলে বসে ছন্দ গুনি । আর , ধোঁয়া ওঠা পূর্ণ
ভোরে ডুব দিতে থাকে আমার তামাক পোড়া ওষ্ঠ ;
আদিম হয় বিছানা , এখানে রিফিউজি হয় শীত ।


কাঁচ জানলার ও-পাশে নিম্ন থেকে উচ্চ স্বরে গান
গায় পরিযায়ী তাপাঙ্ক  । কুয়াশাদের ছায়াপথ
সারা শরীরময় আঁকে রেখাচিত্র । এমনই এক কালে , তোমার দেহ আলিঙ্গন করেছিল
চারটি কাঁধ । আর আমি ! আমি কল্পনার সুতোয় ধাপে ধাপে বুনে চলি মৃত হেমন্তের কাঁথাখানি ॥