মা তুমি কোথায় গেলে ?
আমাকে বাড়িতে একা ফেলে।
"রাণু দিদি  মা কই "?
"সোনা বাবা দেখো কি সুন্দর বই"।
দেখো সোনা , রাজপুত্তর চড়েছে ঘোড়া,
আর রাজকন্যা পরেছে কাঁচের জুতো জোরা।
চলো তোমাকে শোনাই গল্প,
সোনা খেয়ে নাও তুমি খাবার অল্প।
না রানু দি, আমি খাব না খাবার,
মা বলল না, আমায়, যখন সময় হলো যাবার।
রোজ সকালে মা আমায় কথা দেয়,
তারপর আমায় একা রেখে চলে যায়।
মা বোঝো নাকি, যে তোমায় ছাড়া আমার ভীষন কষ্ট!
আমার কাছে থাকতে কি তোমার সময় হয় নষ্ট ?
খালি রাত্রি বেলায় ফিরে আমায় জড়িয়ে ধরো,
আর বল আমায় তুমি ভালোবাসো বড়।
“সোনা বাবা চলো আমরা করি খেলা
তারপর স্নান করি হয়ে যাচ্ছে বেলা।
এখন তুমি খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি,
আর কেঁদে কেটে কর না বারাবারি”।
“রানু দিদি  মাকে তুমি ফোন করে বল, যে মা এলেই আমি খাব!
আমি মার কাছে যাব”।
“অনেক হয়েছে এবার!
সময় হয়েছে তোমায়ে সাঁটিয়ে মার দেবার!
“সহ্যের সীমা আমার হয়েছে শেষ
যখন মারব তোমার লাগবে বেশ।
ভালোই হয়েছে বটে!
আমার ও কপালে চাকরি ও জোটে !
মা ফেলে দিয়ে যাবে তার সন্তানকে আমার উপর!
আর আমার হবে হয়রানি দিন আর দুপুর!
আরে বাবা বুঝিস না কেন, যে আমি কাজ করি টাকা পাই বলে,
তোর এই ন্যাকামতে আমার গা পিত্তি যায় জ্বলে।"
সোনা কাঁদে মার জন্য দিনের পর দিন,
সে থাকে একা বাড়িতে মাকে বিহীন।
সে বোঝে না যে মা অফিসে জরুরি কাজ করে
অবুঝ সোনা কাঁদে সারাদিন তার মায়ের তরে।
পড়াশোনা শিখে মা এখন হয়েছে পেশাদার,
বাড়িতে বসে বাচ্চা মানুষ করা এতো ভারী ভার,
চাকরি করে মা, নিজেকে করে সন্তুষ্ট,
মা ছারা দিন কাটায়ে সোনা, মনে নিয়ে কষ্ট।