করুণ অঙ্গারে পুড়ে যায় জননীর দেহ
মা-মাটির খরতাপ
উনিশশো বিশ সাল
মৌনী রাত্রির গুহায় ভূমিষ্ট একটি শিশু
জ্বলন্ত এবং উন্মাদ।


নীল আকাশ মেঘের পালক ছাড়িয়ে নিয়ে
বাংলার উঠোনে এসে দারুণ মিশে গিয়েছে,
আমাদের খোকা
আমাদের সেই
রাতজাগা চাঁদ
অগ্নিস্ফূলিঙ্গের মতো বেঁকে বসেছে তাদের ওষ্ঠ ও গ্রীব্রায়।


জন্মমাত্র ধীরে ধীরে শুষে নিতে শিখে পাপ আর তপ্ত ঘৃণা
আনে সত্য শান্ত প্রাণ।
একটা ঘোর জোয়ার এসে বেঁধে ফেলে বুক
জননীর চোখ মুছে দেবার সেই অতৃপ্ত ভীষণ প্রতিজ্ঞা
ডেকে নেয় স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রাম।
বায়ান্নর জাগরণে
ঊনসত্তর গর্জনে,
সত্তরের স্বপ্নবুনে
একাত্তরের রাত্রিতে
তারপর, চলে আসে সেই পঁচাত্তর ঘন কালো অন্ধকার।


ছাপ রেখে যায় স্মৃতি
মন রেখে যায় প্রীতি
মুজিব মানেই গতি।


সেই একটি মুজিব একটি রাষ্ট্র অজস্র মুজিবের প্রাণ।